বুধবার ২০ অগাস্ট একটি সরকারি রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে প্রতি বছর ২০ হাজার কোটি টাকা হারান ভারতীয়রা, অনলাইনে রিয়েল মানি গেমিংয়ে। প্রতি বছর ৪৫ কোটি মানুষ এই গ্যাম্বলিং জাতীয় গেমে টাকা হারান। সূত্রটি জানিয়েছে যে অনলাইন রিয়েল মানি গেমিং সমাজের জন্য একটি বড় সমস্যা এবং জনগণের কল্যাণের চেয়ে রাজস্বের ক্ষতি এড়িয়ে চলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই সরকারি সূত্র আরও জানিয়েছে যে মোটামুটিভাবে অনুমান রয়েছে যে প্রতি বছর ৪৫ কোটি মানুষ টাকা হারান এই অনলাইন রিয়েল মানি গেমিংয়ে। আর মোট ২০ হাজার কোটি টাকা করে প্রতি বছর হারান ভারতীয়রা। সরকারের তরফে আজ লোকসভায় অনলাইন গেমিং বিল ২০২৫ পেশ করা হয়েছে যা যে কোনও ধরনের টাকার বিনিময়ে গেমিং নিষিদ্ধ করেছে। এর পাশাপাশি ই-স্পোর্টস এবং অনলাইন সোশ্যাল গেমিংকে উৎসাহিত করার প্রস্তাবও করেছে। সরকারি সূত্র মারফত জানানো হয়েছে, অর্থের বিনিময়ে খেলা অনলাইন গেমিং সমাজের জন্য একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিটি সাংসদ সদস্য এর খারাপ প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। শিল্প বিভাগের এক-তৃতীয়াংশ থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব ও সমাজকল্যাণের মধ্যে সরকার বেছে নিয়ে সমাজকল্যাণকে।
সূত্র জানিয়েছে এই নতুন অনলাইন গেমিং বিলের আওতায় অর্থ জুয়ার সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা মূলত রাজ্য সরকারগুলিই নেবে। এই বিলে প্রস্তাব করা হয়েছে যে নির্ধারিত বিধান লঙ্ঘন করে অনলাইন মানি গেমিং পরিষেবা প্রদানকারী যে কোনও ব্যক্তি তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয়েই দণ্ডিত হবেন। বিধানগুলিতে নিয়ম লঙ্ঘন করে বিজ্ঞাপন প্রচারকারীদের জন্য ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় শাস্তি দেওয়ারও বিধি আনা হয়েছে।
বেশ কিছু অনলাইন রিয়েল মানি গেমিং প্ল্যাটফর্ম নিজেদেরকে জুয়া বা বাজি থেকে আলাদা করার জন্য দক্ষতার খেলা হিসেবে নিজেদের আড়াল করার চেষ্টা করেছে। যারা গেম খেলে তারাই ভুক্তভোগী হয়। তাদের শাস্তি দেওয়া হবে না, তবে যারা রিয়েল মানি গেমিং করবে তারা দণ্ডিত হবেন।
এই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে এই অনলাইন স্কিল গেমিং ভারতের একটি সানরাইজ সেক্টর যেখানে এন্টারপ্রাইজ মূল্যায়ন ২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি আর বার্ষিক রাজস্ব ৩১ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এই সেক্টর বার্ষিক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করের ক্ষেত্রে ২০ হাজার কোটি টাকারও বেশি অবদান রাখে।