Pomato: মধ্যবিত্তের রান্নাঘরে আলুর (Potato) মতো প্রয়োজনীয় সবজি বোধহয় আর কিছু হয় না। আর তার সঙ্গে যদি রাখা যায় টোম্যাটো (Tomato) তাহলে তো গৃহিণী নিমেষে অসাধ্য সাধন করে মুখরোচক তরকারি বানিয়ে ফেলতে পারেন। তবে আলুর মতো টোম্যাটো অবশ্য অনেক বাড়িতেই রোজনামচায় যুক্ত হয় না। কারণ মাঝে মাঝেই বেশ চড়া দামে বিক্রি হয় টোম্যাটো, যা সাধারণ গৃহস্থের নাভিশ্বাস উঠিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। তবে এবার এই আলু আর টোম্যাটো নিয়েই দারুণ এক কাণ্ড ঘটিয়েছেন একদল গবেষক। একই গাছে আলু আর টোম্যাটো ফলিয়েছেন তাঁরা। বারাণসীর Indian Institute of Vegetable Research (IIVR)- এর গবেষকরা একটি নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন, যার সাহায্যে একই গাছে আলু এবং টোম্যাটো ফলানো যাবে। নতুন নামও দেওয়া হয়েছে ‘Pomato’।


গত বছরই এই Pomato- র জন্ম হয়েছিল। তারপর থেকে অবশ্য বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এই আজব সবজির গুণমান এবং ফলনের পরিমাণ বাড়ানোর চেষ্টা করছিলেন। এর পাশাপাশি জানা গিয়েছে, আপাতত এই Pomato গাছে বেগুন ফলাতে সক্ষম হয়েছেন ওই প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘Brimato’। লঙ্কার চাষও হচ্ছে এই ‘Brimato’ গাছে। বারাণসীর ওই রিসার্চ সেন্টারের বিজ্ঞানী ডক্টর অনন্ত কুমার জানিয়েছেন, এই নতুন ধরনের সবজিগুলো ফলাতে প্রায় ৫ বছর সময় লেগে গিয়েছে।


ডক্টর কুমার জানিয়েছেন যে, প্রতিটি Pomato গাছে ২ কিলো টোম্যাটো এবং ৬০০ গ্রাম আলুর ফলন হবে। মাটির নীচের স্তরে চাষ হবে আলুর। আর উপরের স্তর বরাদ্দ হয়েছে টোম্যাটোর জন্য। এছাড়াও মাটির অতিরিক্ত স্তর ব্যবহার হচ্ছে বেগুন এবং লঙ্কা চাষের জন্য। পট বা পাত্রের মধ্যে এই গাছ লাগানো সম্ভব। তাই বাড়ির মধ্যেই এই আজব গাছের সাহায্যে দিব্যি চাষবাস করতে পারবেন আগ্রহীরা। ডক্টর কুমার আরও জানিয়েছেন যে, এই গাছে লাউ, শসা, করলার মতো সবজি ফলানোর চেষ্টাতেও রয়েছেন তাঁরা। এর পাশাপাশি আরও জানা গিয়েছে যে, বড় চাষের এলাকায় এই গাছগুলি মাটিতে পোঁতার পর ব্যবহার শুরুর আগে বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে। ফলনের পর বেগুন তোলার ক্ষেত্রে প্রায় ২৫ দিন এবং টোম্যাটোর ক্ষেত্রে ২২ দিন মতো সময় লাগে বলেও জানিয়েছেন ওই বিজ্ঞানী।


আরও পড়ুন- প্রাণবায়ু বেরিয়ে যাওয়ার আগে ধড়ফড়ানি, তার পর সব নিস্তেজ, ক্যামেরাবন্দি হল নক্ষত্রের মৃত্যু