Ram Mandir Inauguration: অযোধ্যা (Ayodhya) জুড়ে এখন সাজো সাজো রব। হাতে আর বেশি সময় নেই। আগামী ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরের (Ram Temple) উদ্বোধন হতে চলেছে। রামলালার প্রতিষ্ঠার আগে সবদিক থেকে প্রযতুত শ্রী রাম জন্মভূমি ট্রাস্ট। তারা ঘোষণা করেছে যে রামমন্দিরের গর্ভগৃহ নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু ২২ জানুয়ারির অপেক্ষা। সেই দিনই উদ্বোধন হতে চলেছে রাম মন্দির। একাধিক ভিভিআইপি অতিথি উপস্থিত থাকবেন এই অনুষ্ঠান। থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রামমন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার মুহুর্তের সাক্ষী থাকবেন সকলে। ১০ হাজারের বেশি হাই-প্রোফাইল অতিথি হাজির হবেন রামমন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে। বিজনেস টাইকুন থেকে শুরু করে শিল্পপতি, বিনোদন এবং খেলার দুনিয়ার তারকারা, রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিত্ব, শিল্পকলা জগতের বিখ্যাতরা, - সকলেই উপস্থিত থাকবেন অযোধ্যার এই জাঁকজমক পূর্ণ অনুষ্ঠানে।
নিরাপত্তায় কড়াকড়ি
উত্তর প্রদেশ পুস্লিশের একটি স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স রামমন্দিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। নিরাপত্তার কড়া বেষ্টনীতে যাতে ন্যূনতম ফাঁকও না থাকে সেই জন্যে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যের (এক্ষেত্রে উত্তর প্রদেশ) গোয়েন্দা দফতর এবং সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগ একত্রিত হয়েছে এবং সজাগ রয়েছে। ২২ জানুয়ারির জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থায় সংযুক্ত হয়েছে boom barriers, bollards, সমস্ত প্রবেশ পথে সিসিটিভি ক্যামেরা। কড়া নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য ভরসা করা হয়েছে প্রযুক্তির উপরেই। কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
বুম ব্যারিয়ার্স
এই ব্যবস্থা টায়ার কিলার্স নামেও পরিচির। একটি নির্দষ্ট জায়গায় আন-অথরাইজড যানবাহন প্রবেশে বাধা দেয় এই টায়ার কিলার্স নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিভিন্ন ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় রাস্তাঘাট। এছাড়াও হোটেল, অফিস- এইসব ক্ষেত্রে অ্যাকসেস পয়েন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয় এই নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে।
অ্যান্টি ড্রোন টেকনোলজি
উত্তর প্রদেশ পুলিশই ভারতের প্রথম রাজ্য পুলিশ হতে চলেছে যারা রামমন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে অ্যান্টি ড্রোন টেকনোলজি যুক্ত করতে চলেছে। এই নিরাপত্তা পদ্ধতিতে খুঁজে বের করা হয় আন-ওয়ান্টেড ড্রোন। এক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট রেডিও ফ্রিকুয়েন্সিতে স্ক্যান করে ড্রোনগুলি খুঁজে বের করা হয়। এছাড়াও আলাদা আলাদা ড্রোন মডেল খুঁজে বের করা হয় তাদের কমান্ড প্রোটোকল অনুসারে। এছাড়াও ইলেকট্রো অপটিকাল এবং ইনফ্রারেড সেনসরের সাহায্যে ড্রোন খুঁজে বের করা যায় ওইসব ডিভাইসের ভিস্যুয়াল এবং হিট সিগনাচারের ভিত্তিতে।
হাই-টেক সিসিটিভি
রামমন্দির উদ্বোধনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক রাখার জন্য তৈরি হয়েছে ইয়েলো অ্যান্ড রেড অর্থাৎ হলুদ এবং লালা জোন বা এলাকা। সেখানে এক্সটেনসিভ সিসিটিভি কভারেজ চলবে। একটি সেন্ট্রাল কমান্ড কন্ট্রোল থাকবে। সারা শহরের সিসিটিভি ফুটেজ স্টোর করা যাবে এবং থাকবে ৯০ দিনের রেকর্ডিং করার সীমা।
ইন্টেলিজেন্ট ট্র্যাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ITMS)
রামমন্দিরের উদ্বোধন দেখতে যাঁরা আসবেন সেই দর্শণার্থীরা যেন একদম সাবলীল যানবাহন পরিষেবা পান, সেই দিকেই নজর দেওয়া হবে এই ব্যবস্থার মাধ্যমে। অযোধ্যার ২০টি এলাকায় এই বন্দোবস্ত থাকছে। কড়া ভাবে ট্রাফিকের উপর নজরদারি চালানো হবে। থাকবে ইমার্জেন্সি কল বক্স, অসুবিধায় পড়লে যাতে দ্রুত জানানো যায়। এইসব বক্সের মাধ্যমে জরুরি অবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুমে পাঠানো সম্ভব হবে। সেই মতো নেওয়া হবে উপযুক্ত ব্যবস্থা।
২৫টি টেলিস্কোপ
এইসব টেলিস্কোপের এক একটিতে থাকবে ৯টি করে লেন্স। চারদিকে অত্যন্ত সুচারুভাবে টেলিস্কোপের মাধ্যমে নজরদারি চালানোর জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আজকাল অনেকক্ষেত্রেই অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়। তাই ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং অন্যান্য মাধ্যমেও চলবে কড়া নজরদারি।