AC Maintain Tips: এবছর যা গরম (Summer Days) পড়েছিল তার জেরে প্রায় সকলের বাড়িতেই অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেকটা বেশি সময় চালু ছিল এসি (Air Conditioner) মেশিন। বর্তমানে বর্ষা এসেছে ঠিকই, কিন্তু মাঝে মাঝেই চরম আপেক্ষিক আর্দ্রতার (Humidity) জেরে ভ্যাপসা গুমোট গরম অনুভূত হচ্ছে। ফলে চালাতে হচ্ছে এয়ার কন্ডিশনার। আর তার জেরে চড়চড় করে বাড়ছে ইলেকট্রিকের বিল। এক্ষেত্রে সহজ কিছু টিপস মেনে চলতে পারলে আপনি এসি মেশিন চালালেও নিয়ন্ত্রণে থাকবে ইলেকট্রিক বিলের পরিমাণ। তাহলে দেখে নেওয়া যাক কীভাবে এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করলে আপনি পরিষেবাও পাবেন, অথচ আকাশছোঁয়া বিল দিতে হবে না।
নাগাড়ে এয়ার কন্ডিশনার চালিয়ে রাখবেন না
অনেকেই গরম সহ্য করতে পারেন না একদম। বাড়িতে প্রায় ২৪ ঘণ্টায় এসি মেশিন চালু থাকে। সবার আগে এই অভ্যাস বন্ধ করা প্রয়োজন। একটানা অনেকক্ষণ এসি চালিয়ে রাখলে শুধু যে ইলেকট্রিকের বিল বাড়বে তা নয়, একইভাবে চাপ পড়বে এয়ার কন্ডিশনারের উপরেও। ফলে সহজে এসি মেশিন খাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেবে। তাই ঘর ঠান্ডা হয়ে গেলে কিছুক্ষণের জন্য এসি মেশিন বন্ধ করে দিন। পরে আবার চালু করুন। এভাবে এসি মেশিন ব্যবহার করলে ইলেকট্রিকের বিলও বাড়বে না এবং অনেকদিন টিকবে মেশিন।
নিয়মিত সার্ভিসিং প্রয়োজন
এসি মেশিনের ফিল্টার নিয়মিত ভাবে পরিষ্কার করা প্রয়োজন। নির্দিষ্ট সময়ান্তরে এসি মেশিনের ফিল্টার পরিষ্কার করতে হবে। নাহলে ধুলো, নোংরা কমে এসি মেশিন খারাপ হয়ে যেতে পারে। নিজে নিজে এয়ার কন্ডিশনার মেশিনের দেখভাল করতে না যাওয়ার ভাল। যাঁরা এইসব কাজে দক্ষ তাঁদের দিয়ে এসি মেশিনের সার্ভিসিং করিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। এসি মেশিনের সঠিক পরিমাণে গ্যাস রয়েছে কিনা, তেল বা লুব্রিকেশন সংক্রান্ত কোনও সমস্যা রয়েছে কিনা, এসি ফিল্টার পরিষ্কার রয়েছে কিনা- সবই দেখে নেওয়া দরকার।
কত তাপমাত্রা রাখা সঠিক
এসি মেশিনের তাপমাত্রা ১৬ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখলে যন্ত্র খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। একই সঙ্গে বাড়বে ইলেকট্রিক বিলের পরিমাণ। বাইরে ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকলে সেটা সহ্য করাও মুশকিল। কিন্তু তাই বলে একধাক্কায় তাপমাত্রা অনেকটা কমাবেন না। বরং এসি মেশিনের তাপমাত্রা রাখুন ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। এর ফলে আরামদায়ক পরিবেশ বা তাপমাত্রা থাকবে এবং ইলেকটড়িকের বিলও কম থাকবে।
কোন জায়গায় এসি মেশিন লাগাচ্ছেন সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। সূর্যালোক থেকে যতটা সম্ভব দূরে রাখুন এসি মেশিন। এর পাশাপাশি ঘরের জানলা দরজায় যাতে ফাঁক না থাকে সেদিকেও নজর রাখা প্রয়োজন। দরজা, জানলায় ফাঁক থাকলে ঘর সহজে ঠান্ডা হবে না।
আরও পড়ুন: কতবার দুধ ফোটান? পদ্ধতি কি ঠিক? পুষ্টিগুণ নষ্ট হচ্ছে না তো?