নয়া দিল্লি : দেশজুড়ে বিতর্কের জের। এবার নিজেদের প্রাইভেসি পলিসি আপডেটের সিদ্ধান্তে নমনীয় হল WhatsApp। ১৫ মে পেরিয়ে গেলেও ডিলিট হবে না গ্রাহকের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে ইমেলের উত্তরে এই কথা জানিয়েছেন জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপের মুখপাত্র।


বছরের শুরুতেই নিজেদের পলিসি আপডেট করতে গ্রাহকদের বার্তা পাঠায় WhatsApp। সেখান থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। অনেকেই দাবি করেন, পলিসি আপডেটের নামে পেরেন্ট কোম্পানি ফেসবুকের সঙ্গে গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করবে কোম্পানি। সেই আতঙ্কেই বার বার নোটিফিকেশন দেওয়া সত্ত্বেও অনেকেই হোয়াটসঅ্যাপের পলিসি আপডেট করেননি। যা নিয়ে বেশ কয়েকবার সময়সীমা বেঁধে দেয় কোম্পানি।


আগামী ১৫ মে ছিল সেই সময়সীমার শেষ দিন। অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন, নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেই অ্যাকাউন্ট হাতছাড়া হবে গ্রাহকদের। যদিও সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে ইমেলে অন্য কথা বলেছেন হোয়াটসঅ্যাপের মুখপাত্র। ইমেল উত্তরে তিনি বলেছেন, ''১৫ মের পর যাঁরা পলিসি আপডেট করবেন না তাঁদের অ্যাকাউন্ট ডিলিট করবে না কোম্পানি। আমরা পলিসি আপডেটের বিষয়ে আরও কয়েক সপ্তাহ গ্রাহকদের সূচনা পাঠাব।'' জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপের মুখপাত্র আরও জানান, ইতিমধ্যেই বেশিরভাগ গ্রাহক তাঁদের পলিসি আপডেট করেছেন। অনেকেই সময় সুযোগের অভাবে তা করে উঠতে পারেননি। 


গত জানুয়ারিতেই গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে পলিসি আপডেটের নোটিফিকেশন পাঠায় হোয়াটসঅ্যাপ। মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করতে ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পলিসি আপডেটের সময়সীমা বেঁধে দেয় কোম্পানি। হোয়াটসঅ্যাপের তরফে বলা হয়, পলিসি আপডেটের পরও আরও সুবিধা হবে গ্রাহকদের। এমনকী ফেসবুকের সঙ্গে তাঁদের 'ইন্টিগ্রেশন' কাজে আসবে। যদিও কোম্পানির এই কথায় বিশ্বাস করেননি গ্রাহকরা। তাঁরা আশঙ্কা করেন, ফেসবুকের কাছে গ্রাহকদের তথ্য তুলে দেবে হোয়াটসঅ্যাপ। 


যা নিয়ে মুখ খোলে কোম্পানি। সংস্থার তরফে জানানো হয়, বিগত কয়েক মাস গ্রাহকদের মন থেকে ভুল তথ্য ও বিভ্রান্তি দূর করতে চেয়েছেন তাঁরা। এখনও গ্রাহকদের ডেটা ও ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে বদ্ধপরিকর কোম্পানি। কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য বলছে, ভারতের বুকে বিশাল নেটওয়ার্ক রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপের। এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫৩ কোটি। যার সামনে অন্য কোনও মেসেজিং অ্যাপের প্রতিযোগিতা প্রায় অসম্ভব। ডেটা বলছে, বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম নেটওয়ার্ক রয়েছে ভারতে। ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ ইতিমধ্যেই দেশে বিশাল মার্কেট শেয়ার তৈরি করেছে।