সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে তাদের নতুন প্রাইভেসি পলিসি সামনে আসার পর থেকেই শুরু হয় প্রবল বিতর্ক। ফেসবুকের অধিগৃহিত মেসেজিং অ্যাপটির নতুন প্রাইভেসি পলিসিতে অনুযায়ী, ফেসবুকের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের সমস্ত তথ্য ভাগ করে নেওয়ার কথাই জানানো হয়। আর যার পর থেকেই প্রশ্ন উঠে যায় এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন নিয়ে। ব্যক্তি তথ্য তাহলে আর কতটা সুরক্ষিত থাকবে সে নিয়ে তৈরি হয় আশঙ্কা।
হোয়াটসঅ্যাপ প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল, নতুন প্রাইভেসি পলিসি মেনে না নিলে ৮ ফেব্রুয়ারির পর থেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে অ্যাকাউন্ট। কিন্তু সব মিলিয়ে প্রবল বিতর্কে গ্রাহকদের বোঝাতে তিন মাস গোটা পরিকল্পনা থেকে পিছিয়ে এল তারা।
কিন্তু গোটা বিতর্কের মাঝে গত কয়েকদিনে প্রবলভাবে বেড়ে গিয়েছে সিগন্যাল, টেলিগ্রামের মতো মেসেজিং অ্যাপ ডাউনলোড। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করছেন, তারা হোয়াটসঅ্যাপ ছেড়ে অন্য মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করতে শুরুও করে দিয়েছেন।
তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রকও হোয়াটসঅ্যাপের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সংক্রান্ত নীতি বদল হওয়ার বিষয়ে খোঁজ নেওয়া নিচ্ছে। গত কয়েক বছরে একাধিকবার হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ভুয়ো তথ্য ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। উস্কানিমূলক বার্তা ছড়ানো রোখার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ।
এমনিতেই নতুন প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে বিতর্ক হওয়ার পর থেকে একাধিকবার বিবৃতি দিয়ে গ্রাহকদের তথ্য সুরক্ষিতই থাকবে বলে জানিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। তারা বিজ্ঞাপন দেওয়ার পথেও হেঁটেছে।
হোয়াটসঅ্যাপের প্রধান উইল ক্যাথকার্ট দাবি করেছেন, ‘এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন’-এর ফলে আমরা আপনাদের ব্যক্তিগত মেসেজ বা কল দেখতে ও জানতে পারি না। ফেসবুকও এ বিষয়ে কোনও তথ্য পাচ্ছে না। আমরা সারা বিশ্বে এই প্রযুক্তি বজায় রাখার বিষয়ে দায়বদ্ধ।