আগরতলা: দোলাচল কাটিয়ে বিজেপি-কে জয় এনে দিয়েছেন দলকে (Tripura News)। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদারও তাই তিনি। সেই মতো বুধবার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মানিক সাহা (Manik Saha Oath Ceremony)। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হলেন তিনি। এর আগে, বিপ্লব দেব পদত্যাগ করায় চালজলদি পদে আনা হয়েছিল তাঁকে। তবে এ বার নির্বাচনে জয়ী হয়ে পদে এলেন। এ দিন তাঁর সঙ্গেই মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মন্ত্রী।


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে


বুধবার আগরতলায় মানিকের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল। তাতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা, যাঁকে উত্তর-পূর্বে বিজেপি-র সাফল্যের কারিগর বলে ধরা হচ্ছে, তিনিও যোগ দিয়েছিলেন মানিকের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে। 


এ ছাড়াও, এ দিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন অরুণাচলপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খাণ্ডু, মণিপুরের মুখ্মন্ত্রী এন বীরেন সিংহ এবং সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পিএস তামাং। ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবও উপস্থিত ছিলেন। তিনি আচমকা পদত্যাগ করাতেই মানিকের কাঁধে দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্ব। 


আরও পড়ুন: Anubrata Mondal : 'দিল্লির লস্যি খাবেন, সুখেই থাকবেন' অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ দিলীপের


মানিকের নয়া সরকারে এ বার আগের চার মন্ত্রীকে বহাল রাখা হয়েছে। তাঁরা হলেন, রতনলাল নাথ, প্রণজিৎ সিংহ রায়, এস চাকমা এবং সুশান্ত চৌধুরী। নতুন তিন মন্ত্রীর নাম ঘোষণা হয়েছে। তাঁরা হলেন, টিঙ্কু রায়, যিনি কিনা বিপ্লব দেবের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। এ ছাড়াও রয়েছেন বিকাশ দেববর্মা, বিজেপি-র তফসিলি জনজাতি মোর্চার প্রধান সুধাংশু দাস। 


বিজেপি-র শরিক দল, ইনডিজিনিয়াস পিপলস ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরার একজন মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন। তিনি হলেন শুক্লচরণ নোয়াটিয়া। এ দিন শপথ নিলেন তিনিও। সূত্রের খবর, তিনটি মন্ত্রী পদ খালি রাখা হয়েছে। কারণ তিপরা মোথার সঙ্গে এই মুহূর্তে সমঝোতা চলছে বিজেপি-র, যারা কিনা এ বারের নির্বাচনে ১৩টি আসনে বিজয়ী হয়েছে। 


নির্বাচন পরবর্তী হিংসার জেরে অনুষ্ঠান বয়কট করে বাম-কংগ্রেস


বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক এ বারের নির্বাচনে ধানপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন বটে। তবে আসনটি ছেড়ে দেবেন তিনি। আপাতত সাংসদ পদই ধরে রাখবেন। তবে এ দিনের শপথগ্রহণে উপস্থিত ছিল না বনাম বাম-কংগ্রেস। নির্বাচন পরবর্তী হিংসার জেরে এ দিনের অনুষ্ঠান বয়কট করে তারা।