আগরতলা: তাঁকে ঘিরে বেশ কিছু দিন ধরেই অসন্তোষ বাড়ছিল দলে। এ বার ত্রিপুরায় (TMC in Tripura) তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরানো হল সুবল ভৌমিক (Subal Bhowmik)। বুধবার সকালে জোড়াফুল শিবিরের তরফে সুবলকে রাজ্য সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। সুবল বিজেপি-র (BJP) সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে শোনা যাচ্ছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। তৃণমূলে পদ চলে যাওয়ার পর আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি পদ্মশিবিরে গিয়ে উঠবেন বলে অনুমান রাজনৈতিক মহলের।
ত্রিপুরায় তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি পদ থেকে অপসারিত সুবল ভৌমিক
ত্রিপুরা তৃণমূলের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়, 'এই মুহূর্ত থেকে ত্রিপুরার রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল। রাজ্যকমিটি, রাজ্য যুব কমিটি, রাজ্য মহিলা কমিটি, তফসিলি জাতি ও উপজাতি কমিটির প্রধানরা আগের মতোই পদে বহাল থাকছেন'। যত দিন পর্যন্ত না নতুন সভাপতি নিযুক্ত হচ্ছেন, তত দিন ত্রিপুরায় দলের যাবতীয় কাজকর্ম সামলাবেন ত্রিপুরায় তৃণমূলের পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভা সাংসদ সুস্মিতা দেব।
এ বছর এপ্রিল মাসেই ত্রিপুরায় সুবলকে দলের রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব দেয় তৃণমূল। তাঁর নেতৃত্বেই আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছিল দল। কিন্তু সুবলকে নিয়ে দলের অন্দরে অসন্তোষ বৃদ্ধি পাচ্ছিল ক্রমশই। সেই গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই বিধানসভা উপনির্বাচনে চার কেন্দ্রেই তৃণমূলের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। পৌরসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসার পর, জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার এই পরিণতি মানতে পারছিলেন না অনেকেই।
উপনির্বাচনে বিপর্য়য়ের দায় সুবলের ঘাড়েই ওঠে। দলের নেতা-কর্মীদের একাংশ অভিযোগ করেন, নিজের কাছের লোকজনকে সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছেন সুবল। প্রার্থিচয়নের ক্ষেত্রেও সেই পক্ষপাতিত্ব নজরে পড়ছিল। তার জেরে বাপটু চক্রবর্তীর মতো স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাও তৃণমূল ছেড়ে বেরিয়ে যান। যোগ দেন কংগ্রেসে।
সুবলকে ঘিরে অসন্তোষ জমা হচ্ছিল দীর্ঘদিন ধরে
গত বছরের জুলাইয়ে ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটকের উপস্থিতিতে সুবল ভৌমিক কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। কিন্তু দলে তাঁর বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া অসন্তোষ এবং অবস্থান টালমাটাল হওয়ার ইঙ্গিত পেয়েছিলেন সুবলও। তাই গোপনে বিজেপি-র সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন বলে খবর আসতে শুরু করে। শোনা যাচ্ছে, বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার উপস্থিতিতে শীঘ্রই পদ্মশিবিরে যোগ দিতে চলেছেন সুবল।