আগরতলা: ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরা বিধানসভায় নির্বাচন। তার আগে শেষ বেলায় প্রচার সারতে মরিয়া সব দল। হাতে রয়েছে আর এক সপ্তাহ। ভোটারদের মন পেতে তাই সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি- তৃণমূল সব দল।
৬০ সদস্যর ত্রিপুরা বিধানসভার এই নির্বাচনে এবছর প্রার্থী রয়েছে ২৫৯ জন। এর মধ্যে ৩১ জন রয়েছে মহিলা প্রার্থী। এই পরিস্থিতিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি। এলাকার সমস্যার তুলে ধরে তার সমাধানের জন্য ছোট, মাঝারি এবং বড় সমাবেশ এবং রোড শো আয়োজন করেছে সব দলই।
বিজেপির হয়ে ১১ এবং ১৩ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ ও উত্তর ত্রিপুরায় দুটি নির্বাচনী সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন নরেন্দ্র মোদি। এছাড়াও ৩ ফেব্রুয়ারি এবং ১২ জানুয়ারি ত্রিপুরায় জনসভা করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। খয়েরপুরে একটি নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দেবেন তিনি, পদ্মশিবির সূত্রে এমনটাই খবর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, সর্বানন্দ সোনোয়াল, স্মৃতি ইরানি, অর্জুন মুন্ডা, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (অসম), যোগী আদিত্যনাথ (উত্তরপ্রদেশ), এবং এন. বীরেন সিং (মণিপুর), পশ্চিমবঙ্গের বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীও দলের হয়ে প্রচার করেছেন।
আরও পড়ুন, 'মনে রাখবেন, মোদির ওপরই ভরসা দেশবাসীর, মিথ্যে অভিযোগ করে লাভ নেই', সাফ বার্তা প্রধানমন্ত্রীর
অন্যদিকে, বাম দুর্গকে পুনর্জাগরণের জন্য সিপিআই-এম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, পলিটিব্যুরো সদস্য প্রকাশ কারাত, বৃন্দা কারাত এবং আরও বেশ কয়েকজন বাম নেতা ইতিমধ্যেই দলের হয়ে প্রচার করেছেন৷ কংগ্রেস এবং সিপিআই-এম নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট অবশ্য এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যৌথ সমাবেশও করছে তারা।
পাশাপাশি ত্রিপুরায় নিজের ঘাঁটি শক্ত করতে তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনী সমাবেশ সেরেছেন।
এদিকে, বৃহস্পতিবার দলের ইস্তেহার প্রকাশ করবেন নাড্ডা। ঘরে ঘরে পোস্টার, ব্যানার, পতাকা, কাট আউটের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলি তাদের ইস্যু এবং নির্বাচনী বিষয়গুলি তুলে ধরতে বিভিন্ন গান, ছড়া, সোশ্যাল মিডিয়ারও ব্যবহার করছে। প্রচারের অংশ হিসেবে এবার ভোটারদের আকৃষ্ট করতে ইউটিউব চ্যানেল এবং অন্যান্য পদ্ধতিও ব্যবহার করছে।