প্রসেনজিৎ সাহা, ত্রিপুরা: এক সপ্তাহও হয়নি সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়েছে সুবল ভৌমিককে। তার মধ্যেই ত্রিপুরা তৃণমূলে (TMC in Tripura) ফের ভাঙনের জল্পনা। বিধানসভা নির্বাচনের ছ’মাস আগে এ বার দলের রাজ্য কমিটির সহ-সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন আব্দুল বাসিত খান (Abdul Basit Khan)। ত্রিপুরায় তৃণমূলের ভারপ্রাপ্ত নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee) কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন। 


বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের ভাঙন ত্রিপুরা তৃণমূলে


পদত্যাগের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আব্দুল জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে রাজ্য তৃণমূলে নেতৃত্বের অভাব রয়েছে। এই দলে থেকে বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব নয়। তাই আব্দুল অ্য দলে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। এ নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। আব্দুলের পদত্যাগের আগে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরানো হয় সুবলকে। তাঁকে ঘিরে দীর্ঘ দিন ধরেই অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল দলের অন্দরে। শোনা যাচ্ছে, শীঘ্রই বিজেপি-তে যোগ দিতে পারেন সুবল। 


বাংলার বাইরে দলের শিকড় বিস্তারের ক্ষেত্রে ত্রিপুরা এক রকম ভাবে প্রথম পছন্দ ছিল তৃণমূল নেতৃত্বের। ২০২১-এর বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই তার প্রস্তুতি শুরু করে দেন তাঁরা। ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের টিমও তৃণমূলের জন্য জমি প্রস্তুত করতে নেমে পড়েছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে তার প্রভাবও ছিল চোখে পড়ার মতো। পৌরসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে তৃণমূল। কিন্তু উপনির্বাচনে চার কেন্দ্রেই তৃণমূলের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।


আরও পড়ুন: TMC in Tripura: ত্রিপুরায় তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি পদ থেকে অপসারিত সুবল, শীঘ্রই বিজেপি-তে যোগ দিতে পারেন


দলের এমন বিপর্যয়ের জন্য় মূলত সুবলকেই দায়ী করা হয়। দলের নেতা-কর্মীদের একাংশ অভিযোগ করেন, নিজের কাছের লোকজনকে সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছেন সুবল। প্রার্থিচয়নের ক্ষেত্রেও সেই পক্ষপাতিত্ব নজরে পড়ছিল। তার জেরে বাপটু চক্রবর্তীর মতো স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাও তৃণমূল ছেড়ে বেরিয়ে যান। যোগ দেন কংগ্রেসে।


বিধানসভা নির্বাচনের আগে অমিত শাহ ত্রিপুরা সফরে


ঘটনাচক্রে, ত্রিপুরায় বিজেপি-র নেতৃত্ব নিয়েও টানাপোড়েন চলছে। রবিবারই দু’দিনের সফরে ত্রিপুরা পৌঁছন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। বিমানবন্দরে নেমে প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ শুনে রাজ্য সরকারের গেস্ট হাউসে যান তিনি। সেখানে সাংগঠনিক বৈঠক করা ছাড়াও, কথা বলবেন দলের নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক ও শরিক দলের নেতাদের সঙ্গে। সোমবার খুমুলুঙে জনসভায় ভাষণ দেবেন নাড্ডা।