Kaliagaunge: 'কোনও কিছু আড়াল করার চেষ্টা চলছে', অভিযোগ প্রিয়াঙ্ক কানুনগো-র
বিস্তর টানাপড়েনের পর জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের (NCPCR) চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো-র সঙ্গে সাক্ষাৎ হল উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের (Police Officers) কর্তাদের। রায়গঞ্জের সার্কিট হাউসে রয়েছেন প্রিয়াঙ্ক। আজ সকালে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান উত্তর দিনাজপুর জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক। সঙ্গে ছিলেন রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক এবং কালিয়াগঞ্জকাণ্ডের (Kailaganj Minor Murder Case) তদন্তকারী অফিসার। ছিলেন রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ভাস্করজ্যোতি দেবনাথও। নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় গত কালই জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের গতিবিধিকে নিশানা করে একের পর এক ট্যুইট করে রাজ্য শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশন।
সন্দেহভাজন তৃণমূল প্রধানকে জিজ্ঞাসাবাদই করা হয়নি, অভিযোগ কমিশনের চেয়ারপার্সনের। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলতে চাওয়ায় ২ জনকে ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি প্রিয়াঙ্কের। এতেই শেষ নয়। তাঁর মতে, তিনজনের বক্তব্যে ফারাক রয়েছে। এর থেকেই অনুমান, কোনও কিছু আড়াল করার চেষ্টা চলছে।
জাতীয় ও রাজ্য শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের দ্বৈরথ...
ট্য়ুইটে লেখা ছিল, '১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করে কালিয়াগঞ্জে গিয়েছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের দল। জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের এই ভূমিকা লজ্জাজনক। যেভাবে এনসিপিসিআরের চেয়ারপার্সন প্রিয়ঙ্ক কানুনগো রাজ্যের শিশু ও মহিলাদের সম্পর্কে মন্তব্য করছেন, তা দুর্ভাগ্যজনক। 'তথ্য যাচাই না করেই তিনি উস্কানিমূলক মন্তব্য করছেন তিনি। তাঁর এই ধরনের মন্তব্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। যাদের শিশুদের অধিকার রক্ষার কথা, তাঁরাই শিশুর মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করছে। আইন ভেঙে রাজ্যের কমিশনকে অগ্রাহ্য করে রাজ্যকে বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে।'
কী ঘটেছিল?
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে নিখোঁজ ছিল এক নাবালিকা। শুক্রবার সকালে একটি পুকুরে উদ্ধার হয় তাঁর মৃতদেহ। মৃতা এবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে, প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। প্রথমে কালিয়াগঞ্জ-দুর্গাপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ ও পরে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পুলিশ মৃতদেহ তুলতে গেলে, বাধা দেন বিক্ষোভকারীরা। এরপরই দু-পক্ষের মধ্যে বেঁধে যায় খণ্ডযুদ্ধ। পুলিশের দিকে উড়ে আসতে থাকে ইট। পাল্টা ইট ছোড়ে পুলিশও। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। চলে ব্যাপক লাঠিচার্জ। পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, মৃত নাবালিকার সঙ্গে এক যুবকের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। মৃতের পরিবারের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবক ও তাঁর বাবাকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ার অভিযোগে, আরও কয়েকজনকে আটক করা হয়।