Primary Recruitment Scam : মুছে ফেলা তথ্যেই কি লুকিয়ে রহস্য়? এস বসু রায় কোম্পানির অফিসে CBI
এস বসু রায় কোম্পানির অফিসে চারদিনের তল্লাশিতে ৩৬টি হার্ড ডিস্ক উদ্ধার, খবর সূত্রের। এছাড়াও মিলেছে ২টি সার্ভার, যার মধ্যেও আছে বেশ কয়েকটি হার্ড ডিস্ক। এই সমস্ত হার্ড ডিস্ক থেকে প্রচুর ডেটা মোছা হয়েছে, অনুমান সাইবার বিশেষজ্ঞদের। মুছে ফেলা তথ্যেই কি লুকিয়ে রয়েছে রহস্য়?
মুছে ফেলা ডেটা পুনরুদ্ধারের জন্য দিল্লি -হায়দরাবাদের ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলছে সিবিআই, খবর সূত্রের।
ইতিমধ্যেই একাধিক সার্ভার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন প্রচুর তথ্য সার্ভার থেকে ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে দুর্নীতি তদন্তের শেষ দেখতে সেইসব তথ্যই পুনরুদ্ধার করতে চায় সিবিআই। NET ও NEET-এর মতো এলিট পরীক্ষায় দুর্নীতি, প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ঘিরে দেশজুড়ে তোলপাড়। এই আবহে এবার রাজ্যে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। OMR ও সার্ভার দুর্নীতির শেষ দেখতে এবার CBI-কে 'অল আউট' ঝাঁপানোর নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। ডিজিটাল ডেটা উদ্ধার করতে দেশ-বিদেশের যেকোনও বিশেষজ্ঞ, যে কোনও সংস্থার সাহায্য নিতে পারবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। আর তার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ দিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকেই। এমনটাই নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
কয়েক মাস আগে, OMR শিট মূল্যায়নকারী সংস্থা এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির প্রোগ্রামার পার্থ সেন এবং ডিরেক্টর কৌশিক মাজির বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে চার্জশিট দিয়ে সিবিআই দাবি করে, ২০১৪ সালের টেটে ১৫২ জন প্রার্থীর নাম ছিল 'WITHHELD'-এর তালিকায়। অর্থাৎ এমন প্রার্থী, যাদের নথিপত্রে কোনও সমস্য়া আছে। কিন্তু, সিবিআইয়ের চার্জশিটে দাবি করা হয়,এস বসু রায় অ্য়ান্ড কোম্পানির প্রোগ্রামার পার্থ সেন ফেল করা প্রার্থীদের নামও সেই তালিকায় ঢুকিয়ে দেন।