Fake IAS Update: দেবাঞ্জনের ভুয়ো স্ট্যাম্প তৈরির দোকানের খোঁজ, আটক দুই মালিক
দেবাঞ্জনের (Debanjan Deb) ডেরা থেকে বিভিন্ন সরকারি অফিস ও দফতরের ভুয়ো স্ট্যাম্প (Fake Stamp) উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। যে দোকান থেকে এই ভুয়ো স্ট্যাম্পগুলি তৈরি করা হত, তার হদিশ পেলেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। পুলিশে সূত্রে দাবি, যাদবপুর এইট-বি বাসস্ট্যান্ডের উল্টোদিকের দোকান থেকে ভুয়ো স্ট্যাম্প বানাতেন দেবাঞ্জন দেব (Fake Vaccination Camp Scam)। দোকানের দুই মালিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। প্রায় এক বছর ধরে, দেবাঞ্জন এই দোকানে আসতেন বলে স্বীকার করে নিয়েছেন দোকানের এক কর্মী। কোন নথির ভিত্তিতে স্ট্যাম্প তৈরি করা হত? কত টাকা দেওয়া হত? দেবাঞ্জনের সঙ্গে আর কেউ কি আসতেন দোকানে? এই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, আর কোনও স্ট্যাম্প তৈরির দোকানের সঙ্গে দেবাঞ্জনের যোগ ছিল কি না, খতিয়ে দেখছেন লালাবাজারের গোয়েন্দারা।
তালতলার একটি ক্লাবের জগদ্ধাত্রী পুজোয় বহু মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয় দেবাঞ্জনের। সেই সংক্রান্ত একাধিক ছবি ভাইরালও হয়েছে। অভিযোগ, ভুয়ো IAS পরিচয় দিয়ে সম্পর্ক তৈরি করে, প্রতারণা করেছেন দেবাঞ্জন।
ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে পুলিশের জালে দেবাঞ্জন দেবের আরও ২ সহযোগী।
ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন দেবাঞ্জনের খুড়তুতো দাদা কাঞ্চন দেব। পুলিশের দাবি, নাকতলার বাসিন্দা কাঞ্চন ছিলেন দেবাঞ্জনের অফিসের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড। তাঁকে কলকাতা পুরসভার কন্ট্রোলিং অফিসার হিসেবে পরিচয় দেওয়া হত। প্রথম থেকেই তিনি জানতেন দেবাঞ্জন আদতে IAS নন। দেবাঞ্জনের প্রতারণা-কারবারে কাঞ্চনও যুক্ত ছিলেন বলে পুলিশের দাবি। ধৃত শরৎ পাত্র কাজ করতেন তালতলা এলাকার এক চিকিত্সকের চেম্বারে। সেখানেই ইঞ্জেকশন দিতে শিখেছিলেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দেবাঞ্জনের ভুয়ো ক্যাম্পে শরৎই দিতেন ভুয়ো ভ্যাকসিন। দাবি পুলিশের।