Fake IAS Vaccine Camp: পুরসভার ফি-র নামে মাইক্রো ফিনান্স সংস্থার থেকে লক্ষাধিক টাকা আদায়, কসবা কাণ্ডে থানায় অভিযোগ দায়ের
দেবাঞ্জন দেবের আয়োজন করা ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পে দেওয়া ভ্যাকসিনের কোন ব্যাচ নম্বর ছিল না। ভায়ালের উপরে ছিল একটি সবুজ স্টিকার। তার উপরে কোভিশিল্ড নাম লেখা ছিল। এছাড়াও ভায়ালের উপরে মিক্সড ভ্যাকসিন লেখা ছিল। অর্থাৎ পাউডার ও তরল মিশিয়ে এই ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে। বিসিজি ভ্যাকসিনে এই ধরনের মিক্সড ভায়াল ব্যবহার হয়। করোনাভাইরাসের জন্য এখনও কোন মিক্সড ভ্যাকসিন বাজারে আসেনি। করোনার ক্ষেত্রে একটি ভায়াল থেকে প্রায় ১০ জনকে টিকা দেওয়া সম্ভব। কিন্তু এই ভুয়ো ভ্যাকসিনের ভায়াল আকারে অনেকটাই ছোট।
ভুয়ো ভ্যাকসিনশনে ক্যাম্পে ভুয়ো টিকাকরণের অভিযোগে থানায় নালিশ জমা পড়েছে। ১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে কসবা ভ্যাকসিনেশন কেন্দ্রে টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হয়। কলকাতা পুরসভার নাম করে সংস্থার কাছ থেকে টাকা আদায় করা হয়েছে। পুরসভার ফি-র নাম করে মাইক্রো ফিনান্স সংস্থার থেকে আদায়। কর্মীদের টিকাকরণের জন্য ১ লক্ষ ১১ হাজার টাকা দেওয়ার দাবি করা হয়েছে।
ভুয়ো টিকাকরণ শিবির নিয়ে আজ অতীন ঘোষ (Atin Ghosh) বলেন, "ভ্যাকসিন নিতে গেলে পরিচয়পত্র দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করাতে হয়। রেজিস্ট্রেশন করালে মোবাইলে মেসেজ আসে। মেসেজ না আসা সত্ত্বেও কেউ কোনও অভিযোগ করেননি। রেজিস্ট্রেশন না করিয়ে কীসের ভিত্তিতে ভ্যাকসিন নিলেন গ্রহীতারা? কেন্দ্র, রাজ্য, বেসরকারি হাসপাতাল ছাড়া কারও ভ্যাকসিন দেওয়ার অধিকার নেই। ভ্যাকসিন নিলেই কো-উইন অ্যাপে তার তথ্য চলে আসবে। পুরসভা ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প করার অনুমতি দেয় না। ভ্যাকসিন নিলেই অটো জেনারেটেড সিস্টেমে আপডেটেড হয়। এর বাইরে ভুয়ো ভ্যাকসিন দিলে সেই তথ্য পাওয়া যায় না। ভ্যাকসিনেশনের পর সার্টিফিকেট না পেলে পুরসভাকে অভিযোগ জানানো উচিত। ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে রাজ্য সরকার, রাজ্য সরকার থেকে পুরসভা, রাজ্য সরকার থেকে বেসরকারি ও সরকারি হাসপাতাগুলির বাইরে কোনও চতুর্থ ব্যক্তি নেই যারা ভ্যাকসিন দিতে পারে।"