Fake IAS : তিনিও প্রতারিত, দাবি দেবাঞ্জনের সংস্থার কর্মী সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
দেবাঞ্জনের ভুয়ো সংস্থার আরও এক কর্মী সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যাঁকে কলকাতা পুরসভার ডেপুটি সেক্রেটারি হিসেবে পরিচয় দিত দেবাঞ্জন। ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেও উপস্থিত ছিলেন তিনি। যদিও তাঁর দাবি, তিনিও দেবাঞ্জনের প্রতারণার শিকার। স্থানীয় সূত্রে দেবাঞ্জনের সঙ্গে পরিচয়, সেই সূত্রে চাকরি। এবিপি আনন্দকে সুস্মিতা জানিয়েছেন, "আমরা কেউ এই প্রতারণা বুঝতে পারিনি। আমি প্রতারিত হয়েছি। আমরা পরে জানতে পেরেছি দেবাঞ্জন দেব ভুয়ো আইএএস অফিসার।"
পুলিশের জেরায় চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি দেবাঞ্জনের। ভ্যাকসিনের জন্য সিরাম ইনস্টিটিউটকে মেল করেছিল দেবাঞ্জন। সেখান থেকে সাড়া না পাওয়ায় কেনা হয় ভুয়ো টিকা। এখনও পর্যন্ত দুটি শিবির খুলে ভুয়ো টিকাকরণ করে দেবাঞ্জন। কেএমসি-র ডেপুটি ম্যানেজারের নাম করে খোলা হয় ভুয়ো মেল আইডি। এখনও পর্যন্ত দেবাঞ্জনের ৮টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ। পশ্চিমবঙ্গ ফিনকর্প থেকে যেত দেবাঞ্জনের কর্মীদের বেতন। একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে কেএমসি, পিডব্লুডি-র প্রচুর জাল স্ট্যাম্প উদ্ধার। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দেবাঞ্জনের সংস্থার কর্মী-সহ ১০ জনকে তলব।
শুধু প্রতারক নন, রীতিমতো বদমেজাজি ছিলেন দেবাঞ্জন দেব। তাঁর সংস্থার কর্মী শুভাশিস দাসের দাবি, গতবছর ডায়মন্ড হারবারে একটি অনুষ্ঠানে ড্রেসকোড ঠিকঠাক না মানায় তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন দেবাঞ্জন। ভয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে পারেননি। আমফানের সময় তাঁরা কাজ করেছিলেন বলে দাবি করেন দেবাঞ্জনের সংস্থার ওই কর্মী।