ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ শোভনের, অসত্য ভাষণ দিচ্ছেন, পাল্টা তৃণমূল

Continues below advertisement
বিধানসভা ভোটের আগে ফোন ট্যাপিংয়ের অভিযোগে সরব হলেন বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে তিনি নিশানা করেছেন শাসক দলকে। অসত্য ভাষণ দিচ্ছেন। ফোন ট্যাপ করে তো কেন্দ্রই। পাল্টা  বিজেপিকে আক্রমণ করেছে তৃণমূল।
বাংলায় একুশে কুরুক্ষেত্রের আগে ফের একবার উঠল ফোন ট্যাপিং বা আড়িপাতার অভিযোগ। শুভেন্দু অধিকারীর পর এবার বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়। এ নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
দেশের রাজনীতিতে ফোন ট্যাপিংয়ের অভিযোগ নতুন কোনও বিষয় নয়। শাসক হোক বা বিরোধী-বারবার এই অভিযোগ কলুষিত করেছে রাজনীতিকে। বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন কিংবা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ফোনে আড়িপাতার অভিযোগে সরব হন।
বৈধভাবে ফোনে আড়ি পাতার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে, এমন আশঙ্কা থাকলে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী সংস্থা আইন মেনেই ফোনে আড়ি পাতে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় টেলিকম দফতর। কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির কোন তদন্তকারী সংস্থার অন্যের ফোনে আড়ি পাতার অধিকার থাকবে সেই নিয়মেই তা নির্দিষ্ট করা আছে। যেমন সিবিআই, র, সিআইডি, কলকাতা পুলিশের মতো কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির গোটা দশেক সংস্থা সেই তালিকায় রয়েছে। কারও ফোনে আড়ি পাততে হলে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সচিব বা রাজ্যগুলির স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছ থেকে ওই সব সংস্থাকে আগে বাধ্যতামূলক ভাবে অনুমতি নিতে হবে। আড়িপাতা প্রক্রিয়ার সবটাই গোপনীয়। তবে জরুরি বা আপৎকালীন প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্রসচিবদের অনুমোদন পেতে সময় লাগলে অন্তত আইজি পদমর্যাদার নির্দিষ্ট এক জনকে কখনও বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে তিনি খুব অল্প কয়েক দিনের জন্য অনুমোদন দিতে পারেন। তবে বহুক্ষেত্রেই বেআইনিভাবে ফোনে আড়ি পাতারও ঝুড়িঝুড়ি অভিযোগ ওঠে।
ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ ঘিরে বিতর্কের জেরে ১৯৮৮-তে কর্ণাটকে জনতা পার্টির মুখ্যমন্ত্রী রামকৃষ্ণ হেগড়ে-কে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। দিল্লিতে বিজেপি ক্ষমতায় আসার আগে ঠিক আগে বর্তমান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ ওঠ। কয়েকজন গ্রেফতারও হন।
২০১০ সালে কর্পোরেট লবিস্ট নীরা রাডিয়ার বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে টেলিফোনিক কথপোকথনের টেপ ফাঁস হতেই শিল্প, রাজনীতি থেকে সংবাদমাধ্যম, হইচই পড়ে গিয়েছিল সর্বত্র। 
Continues below advertisement

JOIN US ON

Whatsapp
Telegram