মহারাষ্ট্রের মঙ্গেশকর পরিবারের সুর সফর শুরু হয়েছিল আগেই। দীননাথ মঙ্গেশকরের হাত ধরে। সেই পরিবারেই জন্ম আশা ভোঁসলের।

কিন্তু বেশিদিন বাবা দীননাথ মঙ্গেশকরের সান্নিধ্য পাননি আশা। যে বয়সে বাবার কাছে গানের তালিম নেওযার কথা ছিল, সেই বয়সেই বাবাকে হারান তিনি।

বাবা চলে যাওয়ায় মহারাষ্ট্রের পাট চুকিয়ে ফেলে পরিবার। পুণে থেকে প্রথমে আসেন কোলাপুর ও অবশেষে মুম্বই।

তখনও সঙ্গীতের প্রতি ভালবাসা বোঝেননি। সংসার চালাতেই গানকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন আশা ভোঁসলে ও লতা মঙ্গেশকর।

প্রথম একটি মরাঠি ছবিতে গান গাওয়ার সুযোগ আসে আশার। 'মাঝা বল' ছবির 'চলা চলা নভ বালা' গানটি দিয়েই তথাকথিত রূপোলি পর্দার জগতে প্রবেশ আশার।

এরপর 'চুনরিয়া' ছবিতে 'সাওন আয়া' গানটি গেয়ে বলিউডে পা রাখেন আশা। 'রাত কি রানি' ছবিতে প্রথম হিন্দি গান এককভাবে গান আশা।

কিন্তু সঙ্গীতের আকাশে তখন গীতা দত্ত, লতা মঙ্গেশকরের মতো তারারা ঝলমল করছেন। তাঁদের বাতিল করা গানগুলি গাওয়ার জন্য ডাক পড়ত আশার।

অথবা ছবির বাজেট কম হলে সেখানে কাজ পেতেন শিল্পী। নায়িকা নয় বরং খলনায়িকার কণ্ঠেই গান গাওয়ার জন্য ডাক পড়ত তাঁর।

১৯৫২ সালে 'সঙদিল' ছবিতে গান ফের লাইমলাইটে আনে তাঁকে। এরপর তাঁকে 'পরিণীতা' ছবিতে কাজের সুযোগ দেন বিমল রায়।

এরপর চড়াই উৎরাই পেরিয়েই এগিয়েছে আশার সঙ্গীত জীবন। আজ তাঁর জন্মদিনে এবিপি লাইভের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা।