রক্ত পরিশ্রুত করা থেকে শরীরের বর্জ্য পদার্থ বের করে দেওয়া, শরীরকে সুস্থ রাখতে কিডনির ভূমিকা অনেক। তাই কিডনি সুস্থ রাখা প্রয়োজন।

প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় সহজ কিছু পরিবর্তন করলেই কিডনি সুস্থ রাখা সম্ভব। তাই কোনও কোনও অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।

প্রসেসড ফুড বা প্যাকেটজাত খাবার বেশি খাওয়া চলবে না। এতে থাকে সোডিয়াম, ফসফরাস। যা কিডনির ক্ষতি করে। যারা ইতিমধ্যেই কিডনির সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের এড়িয়ে চলাই ভাল।

যতটা সম্ভব ব্যথা কমানোর ওষুধ বা পেইনকিলার কম খেতে হবে। অতিরিক্ত ব্যথা কমানোর ওষুধ কিডনির সমস্যা হতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই ওষুধ খাওয়া উচিত।

যে খাবারে বেশি সোডিয়াম আছে সেই রকম খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। অতিরিক্ত সোডিয়াম কিডনির ক্ষতি করে। ফলে নুনের পরিমাণ পর্যাপ্ত রাখতে হবে।

বেশি পরিমাণে চিনির খেলে স্থুলতার আশঙ্কা থাকে। তা থেকে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিস হতে পারে। তার ফলে কিডনির ক্ষতি হতে পারে।

নির্দিষ্ট পরিমাণ জল পান না করলে কিডনির ক্ষতি হয়। কম পরিমাণ জল পান করলে কিডনিতে পাথর জমার আশঙ্কা থাকে।

প্রতিদিন নিয়ম করে শরীরচর্চাও প্রয়োজন। শরীরচর্চা না করলে কিডনির সমস্যা হতে পারে।

ধূমপান কিডনিতে রক্ত চলাচল কমিয়ে দেয় এবং কিডনির রক্তনালীগুলোকে সরু করে দেয়।

অ্যালকোহলের ফলে কিডনির ক্ষতি হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অ্যালকোহল না পানের পরামর্শ দেয়।