কলায় একাধিক গুণ রয়েছে। যা আমাদের অনেকেরই জানা। তবে কলা পাতা, কাণ্ড এবং ফুলেও রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। যা খেলে শরীরের নানা সমস্যা দূর হতে পারে। একইসঙ্গে একাধিক সমস্যাকে প্রতিহত করা যেতে পারে।
কলার কাণ্ড অর্থাৎ থোড় উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ। যা অনেকক্ষণ পেটে থাকে। যা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ থোড়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করে।
তরকারি হিসেবে খাওয়ার পাশাপাশি থোড়ের শরবত বানিয়েও পান করা যায়। ডায়বেটিকদের ক্ষেত্রে অনেক সময়ই বিভিন্ন শরবত পান করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকে।
তবে থোড়ে শরবত চিনির পরিমাণ নেই বললেই চলে। ফলে তা অনায়াসেই পান করতে পারেন ব্লাড সুগারের রোগীরা। এতে গ্লাইসেমিক সূচক নিচের দিকে থাকে। যা ডায়বেটিকদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শরীর থেকে টক্সিন জাতীয় পদার্থ দূর করতে পারে থোড়। ফলে থোড় খেলে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ দূর হয়। থোড়ে উপস্থিত ফাইবার হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, থোড় কিডনিতে পাথর জমতে দেয় না। এতে রয়েছে পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম। থোড়ের সঙ্গে এলাচের গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে উপকার মিলতে পারে।
থোড় শরীরে অ্যাসিডের মাত্রা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয়। অ্যাসিডিটির রোধ করতে সপ্তাহে তিনবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
শরীর থেকে দূষিত পদার্থ নির্গমনের পাশাপাশি রক্তের কণিকা উৎপাদনেও সাহায্য করে থোড়। রক্তে হিমোগ্লোবিন উৎপাদন করে থোড়। এতে আছে আয়রন এবং ভিটামিন B6। অ্যানিমিয়া রোধে সাহায্য করে থোড়।
ইউরিন ইনফেকশন রোধেও সাহায্য করে থোড়। এতে উপস্থিত পটাশিয়াম, ভিটামিন B6, শরীর থেকে টক্সিন নির্গমনেও সাহায্য করে।
বর্তমান সময়ে অনেকেই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন। একইসঙ্গে কোলেস্টেরল নিয়েও নানা সমস্যা থাকে। থোড়ে উপস্থিত ভিটামিন B6, পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।