উত্তর-পশ্চিমের গরম শুকনো হাওয়ায় চড়ছে পারদ। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ এলাকায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি।

এই পরিস্থিতিতে কীভাবে সন্তানকে সুরক্ষিত রাখবেন? সে সম্পর্কে পরামর্শ দিলেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ জয়দেব রায়।

এই সময় শিশুরা বাইরে বেরোলে প্রথম সমস্যা হয় ডিহাইড্রেশন। শরীর থেকে জল বেরিয়ে গিয়ে ডিহাইড্রেশন হয়।

রোদ এড়িয়ে চলতে হবে। তার জন্য সকালের দিকে করা উচিত। কোনও ক্লাস বা কাজ থাকলে সকালের দিকে বা বিকেলের দিকে রোদের তেজ কমলে করা উচিত।

ডিহাইড্রেশন যাতে না হয়, সেজন্য প্রচুর পরিমাণে ফ্লুইড দিতে হবে শরীরে। ডাবের জল পান করতে পারে। মরসুমি ফল খাওয়া যেতে পারে। তাতেও প্রচুর পরিমাণে ফ্লুইড থাকে।

হালকা পোশাক পরতে হবে। হালকা রঙের পোশাক পরতে হবে। সুতির জামা পরা ভাল। বেরোলে ছাতা ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক।

প্রচুর পরিমাণে জল পান মানে স্কুল থেকে বেরিয়ে লাল, নীল জল পান করা নয়। এই ধরণের জল পান করলে জলবাহিত রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। টাইফয়েড, ডায়রিয়া, হেপাটাইটিস এ হতে পারে। জলবাহিত রোগ এড়াতে ভ্যাকসিন নিতে হবে।

ফল মানে বাজারের কাটা ফল কখনই খাওয়া নয়। সহজ পাচ্য খাবার খেতে হবে। এই সময় হাই প্রোটিন খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল।

রোদ থেকে বাড়িতে ঢুকেই হঠাৎ স্নান করা, ঠাণ্ডা জল পান বা এসি ঘরে ঢোকা যাবে না। বরফ দেওয়া জল পান একেবারেই নয়। তাতে হিতে বিপরীত হবে।

জ্বর হলে অযথা অ্যান্টিবায়োটিক না খেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ঘামাচি হলে ঘাম অবস্থায় তাতে পাউডার দিলে লোমকূপ বন্ধ হয়ে যায়। ত্বক শুকনো রয়েছে এমন অবস্থায় পাউডার দেওয়া উচিত।