সাপের কামড়ে বাংলায় মৃত্যুর সংখ্যা ফি বছর কম নয়। তবে বিষের প্রভাবের থেকেও প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে ক্ষতি হয়ে যায় অনেক বেশি।

বিষধর সাপে কামড়েছে সন্দেহ হলে তৎক্ষণাৎ আশপাশের চিকিৎসাকেন্দ্রে ছুটে যান। সময় নষ্ট না করে।

কেউটে, গোখরো, চন্দ্রবোড়া ও কালাচ (কালাচিতি) এই চার ধরনের বিষধর সাপ পাওয়া যায় বাংলায়। বাকি সাপের কামড়ে মৃত্যু হয় না বললেই চলে।

সাপের কামড়ের পর সেই জায়গায় বাঁধন দেবেন না। শরীরের জায়গা বেঁধে দিলে বরং সেই জায়গা যেতে পারে পচে।

সাপের কামড়ের পর সেই জায়গায় চিরে রক্ত বের করার কাজটিও ভুল। তাতে কোনও লাভই হয় না। বরং রোগীর উল্টে আরও ক্ষতিই হয়।

সাপ কামড়ালে বিষ শরীরের অনেক ভিতরে প্রবেশ করে যায়। যে প্রভাব থেকে রোগীকে বাঁচানোর একমাত্র রাস্তা শরীরে অ্যান্টিভেনাম প্রয়োগ।

চিকিৎসকরা বলে থাকেন রুল অফ হানড্রেডের কথা। যা বাঁচাতে পারে বিষধর সাপে কাটা রোগীদের।

রুল অফ হানড্রেড হল সাপে কাটার ১০০ মিনিটের মধ্যে রোগীর শরীরে ১০০ মিলিলিটার (১০ টি অ্যান্টিভেনাম) প্রয়োগ।

বিষধর সাপে কামড়ালে বোঝার অন্যতম রাস্তা শিবনেত্র (Tosis)। নিউরোটক্সিক সাপের বিষ শরীরে ঢুকলে পড়ে আসা চোখের পাতা।

হেমাটক্সিক সাপের বিষের ক্ষেত্রে তেমনটা অবশ্য নয়। তাই সাপে কামড়েছে সন্দেহ হলেই দ্রুত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে ছোটা উচিত রোগীকে।