চুলের একাধিক সমস্যার মধ্যে অন্যতম হল চুল লম্বায় সঠিকভাবে বৃদ্ধি না পাওয়া। এক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি ফল খেলে উপকার পাবেন আপনি। কী কী খেতে পারেন দেখে নেওয়া যাক।
জামজাতীয় ফল অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের বেরি খেতে পারেন। স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, র্যাসপবেরি- এগুলি রাখুন পাতে। ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এইসব জামজাতীয় ফল আপনার হেয়ার ফলিকলগুলিকে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে এবং হেয়ার ফলিকলের মুখগুলি খুলে দেয়। তার ফলে চুল দ্রুত হারে বৃদ্ধি পায়।
অ্যাভোকাডোর রয়েছে অনেক গুণ। এই ফল খেলেও আপনার চুল লম্বায় বৃদ্ধি পাবে দ্রুত গতিতে। ফ্রুট স্যালাডের মধ্যে অ্যাভোকাডো দিয়ে খেতে পারেন। এছাড়াও ব্রেড টোস্টের সঙ্গে অ্যাভোকাডো পেস্ট লাগিয়েও খাওয়া যেতে পারে। জলখাবারে এটি বেশ জনপ্রিয় খাবার হয়ে দাঁড়িয়েছে ইদানীং।
অ্যাভোকাডোর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই এবং হেলদি ফ্যাট। এইসব উপকরণ মাথার তালু অর্থাৎ স্ক্যাল্পে পুষ্টির জোগান দেয়। এছাড়াও চুলের গোড়া শক্ত করে, চুলের গঠন মজবুত করে।
পাকা পেঁপে খেতে পারলে ত্বকের পাশাপাশি চুলের স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে। পাকা পেঁপে সামান্য বিটনুন এবং চাটমশলা কিংবা গোলমরিচের গুঁড়ো দিয়ে খেতেও লাগে বেশ সুস্বাদু। অনেকক্ষণ আপনার পেটও ভরিয়ে রাখব এই ফল।
পাকা পেঁপের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ। এর সাহায্যে চুলে এবং মাথার তালু অর্থাৎ স্ক্যাল্পে পুষ্টির জোগান সঠিকভাবে পৌঁছয়। এছাড়াও খুশকির সমস্যা দূর করে পাকা পেঁপে। এছাড়াও পাকা পেঁপের মধ্যে থাকা ভিটামিন এ চুলের গঠন মজবুত করে।
অ্যাপ্রিকট যাকে খুবানিও বলা হয়। এই ফল খেলেও চুল বৃদ্ধি পাবে দ্রুত। এই অ্যাপ্রিকটের মধ্যে রয়েছে এসেনসিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন।
চুল পড়ার সমস্যা কমাতে সাহায্য করে অ্যাপ্রিকটের মধ্যে থাকা এসেনসিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন। খেয়াল রাখে মাথার তালু অর্থাৎ স্ক্যাল্পেরও।
বিভিন্ন ধরনের সাইট্রাস ফ্রুট অর্থাৎ ভিটামিন সি যুক্ত ফল যেমন কমলালেবু, অন্যান্য লেবু, আঙুর- এইসব চুলের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার জন্য আদর্শ।
সাইট্রাস ফ্রুটের মধ্যে থাকা ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদনের সাহায্য করে। আর এই উপকরণ সহায়তা করে চুলের দ্রুত বৃদ্ধির ক্ষেত্রে।