ক্যান্সারের ঝুঁকি ক্যান্সার এমন একটি রোগ, যা একবার হলে সারানো প্রায় অসম্ভব। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্যান্সার আক্রান্তদের মৃত্যু হয়। তাই ক্যান্সার যাতে না হয়, তার জন্য সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।

ক্যান্সারের ঝুঁকি চিকিৎসকদের মতে, স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। তাই খারাপ অভ্যাস দূর করে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। তাহলে সুস্থভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব।

ক্যান্সারের ঝুঁকি চিকিৎসকদের পরামর্শ, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানোর ক্ষেত্রে খাবার অভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে চাইলে রেড মিট ও প্রসেসড ফুড এড়িয়ে চলা উচিত। এর বদলে প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি ও ফল খাওয়া উচিত।

ক্যান্সারের ঝুঁকি চিকিৎসকরা আরও জানিয়েছেন, সোডা, কৃত্রিম রং মেশানো পানীয় এড়িয়ে চলা উচিত। এর বদলে বেশি পরিমাণে জল খাওয়া উচিত। এমন খাবার খাওয়া উচিত, যার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাতে শুধু ক্যান্সারই নয়, আরও নানা রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হতে পারে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘদিন সুস্থ থাকতে নিয়মিত শরীরচর্চা করা উচিত। প্রতি সপ্তাহে অন্তত এক থেকে তিন ঘণ্টা শরীরচর্চা করা উচিত। বিশেষ করে যাঁদের সারাক্ষণ বসে কাজ করতে হয়, তাঁদের জন্য শরীরচর্চা আরও বেশি প্রয়োজন।

ক্যান্সারের ঝুঁকি অতিরিক্ত মদ্যপানও শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। চিকিৎসকদের মতে, মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান করলে লিভারের রোগ হতে পারে, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হতে পারে, উদ্বেগ ও অবসাদের সমস্যাও হতে পারে। তাই মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান এড়িয়ে চলা উচিত।

ক্যান্সারের ঝুঁকি চিকিৎসকদের মতে, অতিরিক্ত মানসিক চাপও স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। এর ফলে উচ্চ রক্তচাপ, অনিয়মিত হার্ট রেট, রক্তে অতিরিক্ত শর্করা হতে পারে। মানসিক চাপের ফলে অতিরিক্ত খাওয়া, ধূমপান, মদ্যপানের মতো ক্ষতিকারক অভ্যাসও তৈরি হতে পারে। সবগুলির সঙ্গেই ক্যান্সারের যোগ আছে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি চিকিৎসকদের মতে, দাঁত ভাল রাখাও অত্যন্ত জরুরি। একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, দাঁতের রোগ হলে ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি ২৪ শতাংশ বেড়ে যায়।

ক্যান্সারের ঝুঁকি চিকিৎসকদের মতে, শরীরের অতিরিক্ত ওজনও ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। মাত্রাতিরিক্ত ওজন ও স্থুলতা থাকলে শরীরে হরমোনের মাত্রা বদলে যায়। এর ফলে নানা সমস্যা দেখা যায়।

ক্যান্সারের ঝুঁকি সূর্যের আলো যেমন শরীরের পক্ষে উপকারী, তেমনই আবার ক্ষতিকারকও। সূর্যের আলোয় থাকা অতিবেগুনী রশ্মি ত্বকের ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। তাই যাঁদের দিনের বেলা বেশিক্ষণ বাড়ির বাইরে থাকতে হয়, তাঁদের ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। এছাড়া টুপি, ছাতাও ব্যবহার করা উচিত এবং যত বেশি সময় সম্ভব ছায়ায় থাকা উচিত।