শরীরের অ্যাড্রিনাল গ্রন্থিতে উত্পাদিত হয় ডোপামিন হরমোন। এটি একটি নিউরোট্রান্সমিটার যা শরীর এবং মস্তিষ্কের কাজের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্মৃতি, মেজাজ, মনোযোগের ক্ষেত্রে কাজ করে এই হরমোন। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ এই হরমোন রাখতে বেশ কিছু খাবার রাখতে হবে খাদ্যতালিকায়।

মাছ প্রোটিন সমৃদ্ধ। যা অ্যামিনো শরীরে অ্যাসিড সমৃদ্ধ করে তোলে। অ্যামিনো অ্যাসিড শরীরে ডোপামিন উৎপাদনে সাহায্য করে।

মাছ এবং অন্যান্য উচ্চ-প্রোটিন খাবারের মতো, হাঁস-মুরগির মাংসে অ্যামিনো অ্যাসিড বেশি থাকে। এর পাশাপাশি খিদে না বাড়িয়ে ডোপামিন বাড়াতেও সাহায্য করে।

দুগ্ধজাত দ্রব্য যেমন দুধ, পনির, দই ইত্যাদি নিরামিষাশীদের জন্য অ্যামিনো অ্যাসিডের একটি বড় উৎস। বিশেষ করে পনির এবং দই শরীরে হ্যাপি হরমোনের উৎপাদন বাড়ায়।

স্ট্রবেরি শুধু ডোপামিনই নয় সেরোটোনিনের উৎপাদন বাড়ায়। স্ট্রবেরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের অন্যতম উৎস। যদিও অন্যান্য বিভিন্ন ফল ডোপামিন উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে।

সবুজ শাক সবজি যেমন লেটুস, পালং শাক, বাঁধাকপি, কালে, ফুলকপি, ব্রকলি মতো সবজি ডোপামিন বুস্টার হিসাবে কাজ করে।

ডোপামিনের মাত্রা বাড়াতয় গ্রিন টি। গ্রিন টি-তে ক্যাফেইন বেশি থাকে যা শক্তির মাত্রা বাড়ায়। পাশাপাশি মেটাবলিজমও বাড়ায়। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ।

ডিমকে সুপারফুড বলা হয়। ডিমে প্রচুর পরিমাণে অ্যামিনো অ্যাসিডের পাশাপাশি অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা শরীরে ডোপামিন উৎপাদনে সাহায্য করে।

বাদাম অ্যামিনো অ্যাসিডের আরেকটি বড় উৎস। পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ বাদাম ডোপামিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। দিনের যে কোনও সময় বাদাম খাওয়া যেতে পারে।

কফি একটি উচ্চ-ক্যাফিনযুক্ত পানীয়। এটি তাত্ক্ষণিকভাবে একটি শক্তি এবং হরমোনের মাত্রা বাড়ায়। কফি পান করলে ডোপামিনের মাত্রা বাড়তে পারে।