শুধু শীতকাল নয়, সারাবছরই খেজুর খেলে আপনি অনেক উপকার পাবেন।

আপনার খিদে পেলে যদি তিন-চারটে খেজুর খেয়ে নিতে পারেন তাহলে দেখবেন অনেকক্ষণ পেট ভরে থাকবে।

খেতেও বেশ সুস্বাদু এই ড্রাই ফ্রুটস। একইভাবে খেজুর সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়াও সহজ।

যাঁরা বাড়ির বাইরে রোজ বেরোন, তাঁরা ব্যাগে ছোট কৌটোয় কয়েকটা খেজুর রেখে দিতে পারেন। খিদে পেলে স্ন্যাকস হিসেবে খেয়ে নেওয়া যায় এই ড্রাই ফ্রুটস।

চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক শীতকালে খেজুর খেলে কী কী উপকার পাবেন আপনি।

শীতের দিনে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা সঠিকভাবে বজায় রাখতে সাহায্য করে খেজুর। এছাড়াও দূর করে আলস্য। আপনাকে সক্রিয় রাখে। ভরপুর পুষ্টির জোগান দেয়।

খেজুরের মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম এবং কপার বা তামা। এই চারটি উপকরণ হাড়ের গঠন সুদৃঢ় করে। হাড় মজবুত করার পাশাপাশি হাড় সংক্রান্ত ব্যথা, অন্যান্য সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে।

শীতের মরশুমে তাপমাত্রার হেরফেরের কারণে অনেকেরই দৈহিক তাপমাত্রা কমে যায়। এক্ষেত্রে ঠান্ডা কাটিয়ে শরীর উষ্ণ বা গরম রাখতে অর্থাৎ দৈহিক তাপমাত্রা সঠিকভাবে বজায় রাখতে সাহায্য করে এই খেজুর।

প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, গ্লুকোজ, সুক্রোজ, ফ্রুক্টোজ থাকে খেজুরের মধ্যে। ফলে শীতের দিনে খেজুর খেলে আপনি এনার্জি পাবেন। এই ড্রাই ফ্রুটস এনার্জি বুস্টার হিসেবে কাজ করবে শীতের মরশুমে। আপনার শারীরিক ক্লান্তি, অবসন্ন ভাব দূর করে আপনাকে এনার্জি দেবে, চাঙ্গা রাখবে।

খেজুরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। ফলে খেজুর খেলে হিমোগ্লোবি সঠিক মাত্রায় বজায় থাকবে। এছাড়াও ফাইবার সমৃদ্ধ খেজুর হজমশক্তি ভাল রাখে, অন্ত্রের সমস্যা দূর করে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, খেজুরের মধ্যে রয়েছে সলিউয়েবল এবং নন-সলিউয়েবল, দু'ধরনের ফাইবার।