করোনাকালে ডিজিটাল লেনদেনের প্রভাব বেড়েছে দেশে। ঋণের নামে চিনা অ্যাপের প্রবেশ ঘটেছিল ঠিক সেই সময়।
এসব বেআইনি ঋণ অ্যাপের হয়রানির শিকার হয়ে অনেকেই জীবন দিয়েছেন আগে। এমনকী ঋণের থেকে বহুগুণ বেশি টাকা দিয়ে ঋণের জালে আটকা পড়েছেন বহু মানুষ।
আসলে, প্রতারকরা প্রথমে বিভিন্ন সংস্থা থেকে অনেক নম্বর চুরি করে। তারপর একের পর এক এই নম্বরগুলিতে বিভিন্ন বার্তা পাঠানো হয়।
এতে পেমেন্ট বকেয়া সম্পর্কে একটি লিঙ্ক দেওয়া হয়েছে। আপনি কৌতূহলবশত লিঙ্কটি ক্লিক করলেই প্রতারকদের ফাঁদে পা দেবেন।
আপনি যদি কোনও ঋণ না নিয়ে থাকেন, তাহলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এই কোম্পানিগুলি বেআইনি। তাইএরা আপনার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবে না।
আসলে, লিঙ্কে ক্লিক করার পরে ইনস্টল করা অ্যাপটি আপনার ফোনে উপস্থিত সব পরিচিতি ও মিডিয়া ফাইলগুলি পেয়ে যায়।
এরপরই ঠগরা আপনার পরিচিতি ব্য়ক্তিকে ফোন করে হয়রানি করতে শুরু করে। আপনার ছবি তুলে নেয় ও এটিকে মর্ফ করে অশ্লীল ছবি বানিয়ে ফেলে।
মনে রাখবেন, আপনি এই ধরনের বার্তা উপেক্ষা করলে ২-৩ দিনের মধ্য়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্ল্যাকমেইলিং বন্ধ হয়ে যাবে।