প্রাণীজ প্রোটিনের উৎস হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ডিম। কিন্তু সবার কি ডিম খাওয়া উচিত। যে কেউ কি দিনে একাধিক ডিম খেতে পারেন?

প্রোটিন, ভিটামিন বি ২ (রিবোফ্লাভিন), ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন ডি, সেলেনিয়াম এবং আয়োডিনের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে সমৃদ্ধ ডিম।

এছাড়াও ডিমে প্রচুর পরিমাণে কোলিন,আয়রন এবং ফোলেট রয়েছে। এই পুষ্টিদ্রব্য শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। শরীর ভাল রাখতে সাহায্য করে।

কোলেস্টেরল একটি একটি বিষয় যা নির্দিষ্ট মাত্রায় শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, কিন্তু মাত্রা বেড়ে গেলেই ডেকে আনতে পারে বিপদ।

কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পেলে তা হার্টের ক্ষতি করে। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বাড়তে পারে। কিন্তু এই ভয়ে কি ডিম খাওয়া ছেড়ে দেওয়া উচিত?

স্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরল সুস্থ কোষ এবং টিস্যু তৈরি করে, তার সঙ্গে ইস্ট্রোজেন, টেস্টোস্টেরন এবং অ্যাড্রিনালিনের মতো হরমোন তৈরি করে যা শরীরের জন্য খুব ভাল

উচ্চ মাত্রার এলডিএল (LDL) কোলেস্টেরল হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। অন্যদিকে CDC-এর দাবি অনুযায়ী HDL কোলেস্টেরল উপকারী।

ডিমে উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল থাকলেও তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। অন্য খাবারের কোলেস্টেরল থেকে এটি অনেকটাই আলাদা।

একটি বড় ডিমে প্রায় ১৮৬ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে। পুরো কুসুম কোলেস্টেরল ভর্তি। প্রতিদিন একটি আস্ত ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।

দ্য কোরিয়ান জার্নাল ফুড সায়েন্স অফ অ্যানিমাল রিসোর্সেস'-এ প্রকাশিত গবেষণাপত্র অনুযায়ী, প্রতিদিন ২টি ডিম খেলে শরীরের ক্ষতি হয় না। যদিও এই বিষয়ে ব্যক্তিবিশেষের স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে।