অ্যালঝাইমার্স। যাঁরা রোগটি সম্পর্কে জানেন, তাঁদের এটাও জানা যে আক্রান্তের পরিচর্যার দায়িত্বে থাকা মানুষগুলোকেও কষ্ট দেয় এই রোগ। তা সত্ত্বেও প্রিয়জনের অ্যালঝাইমার্স ধরা পড়লে পরিজনেরা তাঁকে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা ও শুশ্রুষা করার চেষ্টা করেন। বিশেষত প্রবীণ কেউ এতে আক্রান্ত হলে বাড়িতে পরিচর্যার প্রয়োজন আরও বেশি। কিন্তু রোগের মাত্রা যত বাড়তে থাকে, ততই রোগীর দেখভাল কঠিন হয়ে উঠতে পারে। রোগটি যত বাড়তে থাকে, তার উপসর্গ তত আলাদা হতে থাকে। তাই পরিচর্যার একটি বা দুটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া সব সময় কাজে দেয় না। এটি মাথায় রাখা জরুরি। উপসর্গ বুঝে সেই মতো এগোলে আক্রান্তকে কিছুটা স্বস্তিতে রাখা যাবে। সে জন্য রোগীর সঙ্গে বোঝাপড়া জরুরি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কথার পাশাপাশি স্পর্শ, চোখের ইশারা ও শব্দ দিয়েও রোগীর সঙ্গে বোঝাপড়া করতে হবে। যদি আক্রান্ত ব্যক্তি কথা শুনতে না পান, তা হলে আশপাশের পরিবেশের আওয়াজ আরও কমানোর চেষ্টা করুন। রোগী কী বলছে, মন দিয়ে শুনুন। কথা না বলেও তিনি মনের ভাব বোঝাতে পারেন। সেই দিকেও নজর রাখা দরকার। সার্বিক ভাবে এই ধরনের পরিচর্যার উপায় নিয়ে একটু লেখাপড়া থাকলে সুবিধা হয়।