আইপিএল ২০২২ এই মুহূর্তে আইপিএল-এর শীর্ষে গুজরাত টাইটানস। হার্দিক পাণ্ড্য়র দলের এই সাফল্যে বড় অবদান রয়েছে পেসার যশ দয়াল। ৫ ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়ে ৯.৪৪ ইকনমি রেটে ৯ উইকেট নিয়েছেন এই তরুণ।

আইপিএল ২০২২ যে কয়েকজন তরুণ পেসার আইপিএল-এ নজর কেড়ে নিচ্ছেন, তাঁদের অন্যতম উমরান মালিক। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে ১১ ম্যাচে তিনি ১৫ উইকেট নিয়েছেন। বোলিং গড় ২৪.২৬ এবং ইকনমি রেট ৯.১০। চলতি মরসুমে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি জোরে বোলিংয়ের রেকর্ড উমরানেরই। তিনি ঘণ্টায় ১৫৭ কিলোমিটার গতিতে বল করেছেন।

আইপিএল ২০২২ হায়দরাবাদের নেট বোলার হিসেবে আইপিএল কেরিয়ার শুরু করেন উমরান। বলের গতি ও দক্ষতার মাধ্যমে তিনি নজর কেড়ে নেন। খেলার সুযোগ পেয়ে দলকে ভরসা দিচ্ছেন এই তরুণ পেসার। তিনিই এখন হায়দরাবাদের বোলিং আক্রমণের প্রধান ভরসা।

আইপিএল ২০২২ চেন্নাই সুপার কিংসের তরুণ পেসার মুকেশ চৌধুরীও চলতি আইপিএল-এ নজর কেড়ে নিচ্ছেন। এবারের আইপিএল-এর নিলামে ২০ লক্ষ টাকায় মুকেশকে দলে নেয় সিএসকে। ১০টি ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়ে ১৩টি উইকেট নিয়েছেন এই পেসার।

আইপিএল ২০২২ ২০২১-২২ মরসুমের বিজয় হাজারে ট্রফিতে মহারাষ্ট্রের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী ছিলেন মুকেশ। এই পারফরম্যান্সের সুবাদেই আইপিএল-এ সুযোগ পান এই তরুণ পেসার। সেই সুযোগ দারুণভাবে কাজে লাগাচ্ছেন তিনি।

আইপিএল ২০২২ লখনউ সুপার জায়ান্টসের হয়ে অসাধারণ ফর্মে বাঁ হাতি পেসার মহসিন খান। এই তরুণ পেসার ৬ ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়ে ১০ উইকেট নিয়েছেন। তাঁর ইকনমি রেট ৫.১৯।

আইপিএল ২০২২ প্রথম মরসুম থেকেই একের পর তারকার জন্ম দিয়েছে আইপিএল। চলতি টুর্নামেন্টও ব্যতিক্রম নয়। এবার নজর কেড়ে নিচ্ছেন কয়েকজন তরুণ পেসার। তাঁদের ভারতীয় দলে সুযোগ দেওয়ার দাবিও ইতিমধ্যেই উঠে গিয়েছে।

আইপিএল ২০২২ বৃহস্পতিবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে অসাধারণ বোলিং করেছেন মুকেশ। ৪ ওভার বল করে ২৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি। ইকনমি রেট ৫.৭৫।

আইপিএল ২০২২ এই ম্যাচে অবশ্য হেরে গিয়েছে সিএসকে। প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ৯৭ রানে অলআউট হয়ে যায় সিএসকে। মুকেশ ও সিমরজিৎ সিংহের দাপটে ৩৩ রানে ৪ উইকেট খোয়ালেও, শেষপর্যন্ত ৫ উইকেটে জয় তুলে নেয় মুম্বই।

আইপিএল ২০২২ পাঞ্জাব কিংসের তরুণ বাঁ হাতি পেসার অর্শদীপ সিংহও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখাচ্ছেন। তিনি খুব বেশি উইকেট নেননি, কিন্তু বিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যানদের রান করতে দিচ্ছেন না। ম্যাচের যে কোনও সময় রান আটকানোর জন্য তাঁর হাতেই বল তুলে দিচ্ছেন ময়ঙ্ক আগরওয়াল।