একটি মাঝারি আকারের কলায় প্রায় ৯০-১১০ ক্যালোরি, ৩ গ্রাম ফাইবার, ৪৫০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ৩০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি, বি৬ এবং ফোলেটের মতো পুষ্টি উপাদান থাকে

একই সঙ্গে কলায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রিবায়োটিক এবং প্রতিরোধী স্টার্চের মতো যৌগও থাকে

উচ্চ রক্তচাপের কারণে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক বেশি। কলায় উপস্থিত পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে

২০২৫ সালে আমেরিকান জার্নাল অফ ফিজিওলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, কলা খেলে সোডিয়ামের প্রভাব কমে। এটি রক্ত ​​ধমনীর দেওয়ালকে শিথিল করে, যার ফলে রক্তচাপ কমে

একটি মাঝারি মাপের কলায় প্রায় ৪২২ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে, যা দৈনিক চাহিদার ১০ শতাংশ

এই পটাশিয়াম শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম অপসারণ করতে সাহায্য করে, যা রক্তচাপকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখে। তবে, কিডনি রোগে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের পটাশিয়াম গ্রহণ কমানো উচিত

কলায় উপস্থিত ফাইবার পাচনতন্ত্রের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। কাঁচা কলায় থাকে প্রতিরোধী স্টার্চ, যা প্রিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে

এটি অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়াকে পুষ্ট করে এবং হজমশক্তি উন্নত করে। পাকা কলায় থাকে পেকটিন, যা কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে

যারা ওজন কমাতে চান তাঁদের জন্য কলা চমৎকার খাদ্য। আসলে, কলায় উপস্থিত ফাইবার এবং প্রতিরোধী স্টার্চ ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে এবং দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরে থাকার অনুভূতি দেয়

কলায় উপস্থিত পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার হৃদরোগের জন্য উপকারী। পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের অভাব হৃদরোগ এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়

কলায় উপস্থিত এই খনিজ পদার্থ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদপিণ্ডের পেশী শক্তিশালী করে

কলায় উপস্থিত পটাশিয়াম কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করে