গরমের মরশুমে বাড়ির বাইরে খোলা জায়গায় শরীরচর্চা না করাই ভাল। এর পাশাপাশি জিমে গিয়ে খুব ভারী ধরনের একসারসাইজ করতে যাবেন না।

যাঁরা নিয়মিত হাঁটতে বেরোন, দৌড়তে যান, পার্কে গিয়ে যোগাসন কিংবা ফ্রি-হ্যান্ড একসারসাইজ করেন তাঁরা হয় একদম ভোরে নয়তো বিকেলে রোদ কমার পর শরীরচর্চা অভ্যাস করুন।

গরমের দিনে হিটস্ট্রোকের সমস্যা এড়াতে চাইলে প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। এর ফলে শরীর হাইড্রেটেড থাকবে। অর্থাৎ ডিহাইড্রেশন বা জলের ঘাটতি হওয়ার সমস্যা দেখা যাবে না।

শুধু জল নয়, আপনি খেতে পারেন বিভিন্ন ফলের রস। যাঁরা বাড়ির বাইরে বেরোচ্ছেন, সঙ্গে অবশ্যই জলের বোতল রাখুন। রাস্তাঘাটে মাঝে মাঝে জল খাওয়ার পাশাপাশি মুখে, চোখে এবং ঘাড়ে জলের ছিটে দিয়ে নিন। এর ফলে আরাম পাবেন।

আমাদের শরীতে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা থাকে। গরমের দিনে মদ্যপান করলে এই ক্ষমতার উপর প্রভাব পড়তে পারে। ফলে শরীর গরম হয়ে যেতে পারে।

তাই গরমের মরশুমে মদ্যপান করার বিষয়টি এড়িয়ে চলাই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল।

গরমের দিনে সুতি, লিনেন এই জাতীয় ফ্যাব্রিকের নরম জামাকাপড় পরতে হবে। এই জাতীয় পোশাক পরলে আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত তাপমাত্রা সরিয়ে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করবে।

এই গরমে যাঁদের রোজ বাড়ির বাইরে বেরোতে হচ্ছে তাঁরা অতি অবশ্যই ছাতা, সানগ্লাস, টুপি ব্যবহার করুন। সঙ্গে রাখুন রুমাল। পারলে সুতির নরম কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে বাইরে বেরোন।

গরমের দিনে তেলমশলা যুক্ত খাবার, ভাজাভুজি এগুলি এড়িয়ে চলুন। এই জাতীয় খাবার শরীর গরম করে দেয়।

হিটস্ট্রোকের সমস্যা এড়াতে গরমের মরশুমে পাতে রাখুন জলীয় উপকরণ বেশি রয়েছে এমন ফল যেমন- তরমুজ, শসা ইত্যাদি। খেতে পারেন টকদই।