পরিবেশ দূষণের গ্রাসে আমরা। ভূমি, বায়ু বা জল, দূষণের করাল গ্রাসে পৃথিবী। এর থেকে বাঁচার উপায় ? পরিবেশ দূষণ কমাতেই হবে, তবেই বাঁচবে পৃথিবী, বাঁচব আমরা। পরিবেশ বাঁচাতে সচেতনতায় জোর দিচ্ছেন পরিবেশবিদরা। নানা পন্থা অবলম্বন করার কথা বলছেন তাঁরা। এই যে দৈনন্দিন সব জিনিস আমরা আবর্জনা হিসেবে বাইরে ফেলি, তাতে কত ক্ষতি হয় জানেন ? প্লাস্টিক দূষণে ভরে গিয়েছে পৃথিবী, সেই প্লাস্টিককে কি মাটি নিজের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারে ? অন্যান্য নানা সামগ্রী যা দূষণের জন্য দায়ি, তা কি মাটিতে মিশে যায় ? নাকি পরে থাকে বছরের পর বছর ? দূষণের মাত্রা বাড়িয়ে সেগুলো স্তূপাকার হতে থাকে আর আরও বিষিয়ে ওঠে মাটি, পরিবেশ। আমাদের চারপাশের অন্যান্য প্রাণীকূল, সমুদ্রের জীববৈচিত্র এই দূষণের গ্রাসে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে, যদি না সচেতনতা আসে দেখে নেওয়া যাক, কোন বস্তু কত দেরিতে মাটিতে মিশে যেতে পারে। আর কোনগুলি বা কোনওদিনই মেশে না। সাধারণভাবে কাগজ মাটিতে মিশতে সময় নেয় ২ থেকে ৪ সপ্তাহ, কমলালেবুর খোসা সময় নেয় ৬ মাস মতো, দুধের কার্টন ৫ বছর বিশেষ প্লাস্টিক ব্যাগ মাটিতে মিশতে সাধারণভাবে সময় নেয় ১৫ বছর, কিছু প্লাস্টিক কখনই মেশে না। টিনের ক্য়ান ১০০ বছর প্লাস্টিক বোতলের ৪৫০ বছর সময় লাগে মাটিতে মিশতে, ভাবুন ! কী ক্ষতিই না হচ্ছে যথেচ্ছ ব্যবহারে কাচের বোতল মেশে ৫০০ বছরে। আর স্টিরিওফোম কখনওই মেশে না মাটির সঙ্গে। তাই সচেতনতা আরও জরুরি। পরিবেশদূষণকারী বস্তু ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা ভীষণ জরুরি।