কমবেশি অনেকেরই অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে বিছানায় শুয়ে ফোনের স্ক্রিন স্কল করা।



আর এই অভ্যাসে নিজের অজান্তেই বেড়ে যাচ্ছে বিপদ। ঘুমের ঘাটতি বাড়িয়ে দেওয়ার পিছনে এই অভ্যাস অনেকাংশে দায়ী।



এই বিষয়ে একটি গবেষণা করেন নরওয়ের ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক হেলথের গবেষকরা।
গবেষণার রিপোর্ট যা এসেছে, তা খুব একটা সুখের নয়।


ঘুমের ঘাটতির জন্য সোশাল মিডিয়ার উদ্দীপনামূলক প্রভাবের জেরে ঘুমের ব্যাঘাতের বিষয়টিও উঠে এসেছে গবেষণায়।



৪৫,২০২ জনকে নিয়ে গবেষণাটি করা হয়েছিল। যাদের বয়স ১৮ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে।



গবেষকদলের প্রধান ডঃ গানহিল্ড জনসেন জেটল্যান্ড জানান, গবেষণায় উঠে এসেছে
ঘুমোনোর আগে মোবাইল ফোনে থাকাই ঘুমের ব্যাঘাতের অন্যতম প্রধান কারণ।


এতে সময় নষ্ট হয়ে যায়, ঘুমের সময়ের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। দেরি হয় ঘুম আসতে।



বিছানায় ঘুমোতে যাওয়ার আগে ফোনের স্ক্রিনে নজর ঘুমের সময় গড়ে ২৪ মিনিট করে কমিয়ে দেয়, বলছে ওই গবেষণা।



ডঃ জেটল্যান্ড জানান, ইদানিং পড়ুয়াদের মধ্যে ঘুমের ব্যাঘাতের বিষয়টি সামনে আসছে।
এতে করে মানসিক স্বাস্থ্য, পড়াশোনা ও সার্বিক স্বাস্থ্যে গুরুতর প্রভাব পড়ছে।


ডঃ গানহিল্ড জনসেন জেটল্যান্ডের পরামর্শ, ঘুমনোর অন্তত ৩০ মিনিট থেকে ৬০ মিনিট আগে ফোনের স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে নিতে হবে।



রাতে নোটিফিকেশনসও যাতে কমে, ব্যবহার কমানো যায়, সে পরামর্শও দিয়েছেন গবেষকদলের প্রধান।



অতএব ঘুমের সঙ্গে ফোনের সম্পর্ক যে শত্রুতার, তা বুঝে নিতে হবে। যেমন পেনসিলভিনিয়া স্টেট ইউনিভারসিটির সাম্প্রতিক আরেকটি গবেষণা অনুযায়ী,
প্রাপ্তবয়স্ক যারা পর্যাপ্ত ঘুমোন না, উচ্চ রক্তচাপ আর হাইপারটেনশনের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলেন। বেড়ে যায় হৃদরোগের সম্ভাবনাও