বীরভূমের ময়ূরেশ্বরে ঘোষ গ্রামের আরাধ্যা দেবী মা লক্ষ্মী। তাই গ্রামের কোনও বাড়িতে আলাদা করে লক্ষ্মীপুজো হয় না। সেই পুজোরই প্রস্তুতি নিচ্ছে গ্রামের মানুষ। কিন্তু কোথা থেকে শুরু হয়েছিল পুজো? প্রায় দেড় হাজার বছর আগের কথা। কথিত আছে, সাধক কামদেব ব্রহ্মচারী মায়ের সাধনার আসনের সন্ধানে পরিভ্রমণ করেছিলেন। বীরভূমের রাঢ অঞ্চলে ঘুরতে ঘুরতে একচক্র ধাম বীরচন্দ্র পুরে গর্ভবাসে এসে পৌছন তিনি। তার পর ভরপুর বর্ষায় যমুনা সাঁতরে ঘোষ গ্রামে আসেন সাধক। রাত্রি হয়ে যাওয়ায় তিনি সেখানে একটি নিম গাছের নিচে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে গাছের তলায় সাধনা শুরু করেন। দীর্ঘ দিন কঠোর সাধনার পর দেবী লক্ষ্মীর স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন তিনি, বিশ্বাস স্থানীয়দের। কথিত আছে, তিনি যেখানে সাধনা করছেন সেখানেই মায়ের দারুময়ী মূর্তির প্রতিষ্ঠা করার নির্দেশ পান। সে জন্য তাঁকে ওই গ্রামেরই সজল ঘোষ নামে কেউ সাহায্য করবেন বলে স্বপ্নাদেশে বলা হয়েছিল। এর পর কোজাগরী পূর্ণিমার দিনই দুজন মিলে দেবী লক্ষ্মীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে পুজো শুরু করেছিলেন।