শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ছুঁইছুঁই। পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার মতো জেলাগুলিতে তাপমাত্রা আরও বেশি। গরমে নাজেহাল মানুষ। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই বাড়িতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র কেনার কথা ভাবছেন। এসি কেনার আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। সেগুলি জেনে নিন।

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র অনেকেই ব্র্যান্ড দেখে এসি কেনেন। তবে ব্র্যান্ডই শুধু নয়, তার সঙ্গে বাজেট, লিভিং রুম না বেডরুমের জন্য এসি কিনবেন, যে ব্র্যান্ডের এসি কেনার কথা ভাবছেন সেটি কেমন চলছে, এগুলিও মাথায় রাখা উচিত।

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র বাজারে এসি-র অনেক ব্র্যান্ডই আছে। উইন্ডো এসি-র দাম কম এবং এই ধরনের এসি বেশিদিন ভাল থাকে। উইন্ডো এসি রক্ষণাবেক্ষণও সহজ। তবে এখন বেশিরভাগ মানুষই স্প্লিট এসি পছন্দ করেন।

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র যে ঘরের জন্য এসি কিনবেন, সেটি কত বড়, এটা মাথায় রাখতে হবে। সেই অনুযায়ী এক টন, দেড় টন না দু’টনের এসি কিনবেন, সেটা ঠিক করতে হবে।

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘরের আকার যদি ছোট হয়, তাহলে এক টনের এসি যথেষ্ট। মাঝারি মাপের ঘর হলে দেড় টনের এসি দরকার। বড় ঘর হলে দু’টনের এসি লাগানো যেতে পারে।

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র বড় হল বা অফিস ঠান্ডা রাখার জন্য দু’টনের একাধিক এসি লাগানো যেতে পারে। এর বদলে সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনারের ব্যবস্থাও করা যেতে পারে।

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র এসি কেনার সময় স্টার বা রেটিং দেখে নেওয়াও জরুরি। ফাইভ স্টার এসি বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে। থ্রি স্টার এসি কিনলে বিদ্যুতের বিল বেশি আসতে পারে। তাই ফাইভ স্টার এসি কেনাই ভাল। এই ধরনের এসি-র দাম বেশি হলেও, আখেরে লাভই হয়।

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র এসি চালালে কেমন আওয়াজ হচ্ছে, সেটাও দেখে নেওয়া উচিত। কারণ, বেশিরভাগ মানুষই বাড়িতে ঘুমের সময়ই এসি চালান। তাই বেশি শব্দ হলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। সেই কারণে এমন এসি বেছে নেওয়া উচিত, যা কম শব্দ করে।

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র স্প্লিট এসি রক্ষণাবক্ষেণ জটিল বিষয়। মাঝেমধ্যেই সার্ভিসিংয়ের দরকার হয়। তাই যে সংস্থার এসি কিনছেন, সেটির সার্ভিসিংয়ের সুবিধা কেমন, সেটা জেনে নিন।

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র যেখানে আপনার বাড়ি, সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ কেমন, সেটাও মাথায় রাখা উচিত। ঘনঘন লোডশেডিং হলে বা ভোল্টেজ বাড়লে-কমলে এসি-র ক্ষতি হতে পারে। সেটাও মাথায় রাখতে হবে।