টাইরামাইন বিয়ার, রেড ওয়াইন, ভারমাউথ, শেরির মতো পানীয়গুলিতেও প্রচুর পরিমাণে টাইরামাইন থাকে। তাই যাঁদের টাইরামাইন সংক্রান্ত সমস্যা আছে, তাঁদের এই ধরনের পানীয়গুলি এড়িয়ে চলাই ভাল।
টাইরামাইন প্রসেসড মাংস সবসময়ই এড়িয়ে চলা উচিত। সসেজ, সালামি, হট ডগ, বেকন, স্মোকড ফিশের মতো খাবারগুলিতে প্রচুর পরিমাণে টাইরামাইন থাকে। তাই এই ধরনের খাবারগুলি এড়িয়ে চলাই ভাল।
টাইরামাইন বিভিন্ন ফল, সবজি, চিজের মতো খাবারে থাকে টাইরামাইন, যা বেশিরভাগ মানুষেরই শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। মাইগ্রেনের যন্ত্রণা, রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয় টাইরামাইন। তাই যে খাবারগুলিতে টাইরামাইন থাকে, সেই খাবারগুলি এড়িয়ে চলা উচিত।
টাইরামাইন কমলালেবু, পাতিলেবু, মুসম্বি লেবু, পাকা কলা, আনারসের মতো ফলগুলিতেও বেশি পরিমাণে টাইরামাইন থাকে। তাই যাঁদের মাইগ্রেন, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যাগুলি আছে, তাঁদের লেবু, কলা, আনারস এড়িয়ে চলা উচিত।
টাইরামাইন যাঁদের টাইরামাইন সংক্রান্ত সমস্যা আছে অথচ শরীরের পক্ষে দুধ, চিজের মতো খাবারগুলিও প্রয়োজন, তাঁরা পাস্তুরিত দুধ দিয়ে তৈরি চিজ খেতে পারেন। এই ধরনের চিজে কম পরিমাণে টাইরামাইন থাকে। তার ফলে সমস্যা কম হয়।
টাইরামাইন তাজা সবজি খাওয়া সবসময় ভাল। কাঁচা বা রান্না করা তাজা সবজি খেলে উপকার পাওয়া যায়। এর ফলে টাইরামাইন সংক্রান্ত সমস্যা এড়ানো সম্ভব।
টাইরামাইন আচার, সসে প্রচুর পরিমাণে টাইরামাইন থাকে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে এগুলিও এড়িয়ে চলা উচিত বলে মত চিকিৎসকদের।
টাইরামাইন সব ফলেই টাইরামাইনের পরিমাণ বেশি থাকে না। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, যে ফলগুলিতে টাইরামাইন কম, সেই ফলগুলি খাওয়া যেতে পারে।
টাইরামাইন যাঁরা শরীরে টাইরামাইনের মাত্রা কমাতে চান, তাঁরা তাজা মাছ, মাংস, ডিমের মতো খাবারগুলি খেতে পারেন। প্রসেসড মাংসের বদলে তাজা মাংস খেলে উপকার পাওয়া যায়।
টাইরামাইন বারবন, জিন, রম, ভদকার মতো পানীয়গুলিতে অল্প পরিমাণে টাইরামাইন থাকে। তাই যাঁদের শরীরে টাইরামাইনের মাত্রা কমানো প্রয়োজন, তাঁরা চাইলে এই ধরনের পানীয় খেতে পারেন।