ত্বকের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার জন্য পাতে রাখতে পারেন কালে- এটি এক প্রকারের শাক। সবুজ রঙের এই শাকের মধ্যে রয়েছে অনেক গুণ।
কালে শাকের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যা কোলাজেন উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। এই কোলাজেন এক ধরনের প্রোটিন যা ত্বকের উজ্জ্বল ভাব বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ব্রকোলি- সবুজ রঙের এই ফুলকপির রয়েছে অনেক গুণ। ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য ব্রকোলি কাজে লাগে। তাই মেনুতে রাখুন এই সবজি।
ব্রকোলির মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিন। এই তিনটি উপকরণ ত্বককে অক্সিডেটিভ ড্যামেজ অর্থাৎ ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে।
গাজরের সাহায্যেও খেয়াল রাখা সম্ভব ত্বকের স্বাস্থ্যের। অনেকে স্যালাডে কাঁচা গাজর খেয়ে থাকেন। কেউ বা সবজি হিসেবে তরকারিতে দিয়ে রান্না করেন। এছাড়াও গাজরের রস খেতে পারেন।
গাজরের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং ক্যারোটিনয়েডস। এইসব উপকরণ ত্বককে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। দূর করে ত্বকের কালচে দাগছোপ।
ত্বকের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল হল মিষ্টি আলু। ভিটামিন এ, বিটা ক্যারোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস রয়েছে এই মিষ্টি আলুর মধ্যে।
মিষ্টি আলুর মধ্যে থাকা এইসব উপকরণ রুক্ষ-শুষ্ক ভাব দূর করে। বলিরেখা বা রিঙ্কেলসের সমস্যা থেকে দূরে রাখে আপনাকে। এছাড়াও সান-বার্ন অর্থাৎ রোদের কারণে ত্বকে ট্যান পড়ে পুড়ে যাওয়ার সমস্যাও দূর করে মিষ্টি আলুর মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপকরণ।
টোম্যাটোর সাহায্যেও ত্বকের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা সম্ভব। এক্ষেত্রে শুধু টোম্যাটো খেলেই হবে না। ত্বকের পরিচর্চার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করতে হবে কাঁচা টোম্যাটো।
টোম্যাটোর মধ্যে রয়েছে লাইকোপেন এবং লুটেন- এই দুই উপকরণ। এই দুটি জিনিস ত্বকের জেল্লা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও দূর করে ট্যান এবং সান-বার্নের ফলে হওয়া কালচে দাগছোপ। তাই বাড়িতে ফেস স্ক্রাব কিংবা ফেস মাস্ক তৈরি করলে টোম্যাটো ব্যবহার করতে পারেন।