সাধারণত রান্নায় হলুদের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। বিশেষ করে ভারতীয় রান্নায় এই উপকরণের ব্যবহার চোখে পড়ার মতো।

এই হলুদে রয়েছে অনেক গুণ। তাই হলুদ গুঁড়োর পাশাপাশি আপনি নিয়মিত ভাবে কাঁচা হলুদও খেতে পারে। উপকার পাবেন প্রচুর।

শীতের মরশুমে ত্বকের যত্ন এবং পরিচর্যার ক্ষেত্রে হলুদ ব্যবহার করতে পারেন। এমনিতেও বাঙালিদের মধ্যে সরস্বতী পুজোর সকালে হলুদ মেখে স্নান করার চল রয়েছে।

হলুদ গুঁড়োর সঙ্গে কিংবা কাঁচা হলুদ বেটে নিয়ে তার সঙ্গে মধু, অলিভ অয়েল, দুধের সর মিশিয়ে সেই মিশ্রণ মাখতে পারেন মুখে, গলায়, কনুইয়ে। অল্পদিনেই দূর হবে ট্যানের সমস্যা। উজ্জ্বল হবে ত্বক।

অনেকেই সকালবেলা খালি পেটে কাঁচা হলুদ খান। এই অভ্যাস থাকলে আপনার হজমশক্তি ভাল হবে। ফলে অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর হবে। আপনার লিভারের স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে।

হলুদের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপকরণ। এছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস। এর ফলে কার্ডিওভাস্কুলার রোগ থেকে সুরক্ষা পাবেন আপনি।

যেকোনও ক্ষতস্থান এবং ব্যথার জায়গায় হলুদের প্রলেপ লাগাতে পারলে কম সময়ে উপকার পাবেন। ক্ষতস্থান দ্রুত শুকোতে সাহায্য করে হলুদ। এছাড়াও কমায় প্রদাহজনিত সমস্যা।

Curcumin- হলুদের মধ্যে থাকে এই উপকরণ যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে, খাবার হজমের শক্তি বৃদ্ধি করে। ফলে বদহজম, অ্যাসিডিটি কিংবা গ্যাসের সমস্যায় যাঁরা ভুক্তভোগী তাঁরা খেতে পারেন কাঁচা হলুদ।

হলুদের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপকরণ রাতে ভাল ঘুম হতে সাহায্য করে। তাই যাঁদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে তাঁরা রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেয়ে দেখতে পারেন। উপকার পাবেন।

ত্বকের পরিচর্যার জন্য বাড়িতে ফেস স্ক্রাব বা ফেসপ্যাক তৈরি করতে চাইলে মূল উপকরণ হিসেবে হলুদ ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের উজ্জ্বলতার পাশাপাশি মোলায়েম ভাব বজায় রাখতেও এই উপকরণ সাহায্য করে।