বিশ্ব হাঁপানি দিবস প্রতি বছর মে মাসের প্রথম মঙ্গলবার পালিত হয় বিশ্ব হাঁপানি দিবস হিসেবে। ফলে আজ দিনটি পালিত হচ্ছে। মূলত গ্লোবাল ইনিসিয়েটিভ ফর অ্যাজমা নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগেই পালন করা হয় দিনটি।
বিশ্ব হাঁপানি দিবস আজকের দিনে বিশ্বজুড়ে হাঁপানি রোগ সম্পর্কে সচেতনতামূলক প্রচার করা হয়। মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ এবং সুস্থতার বিষয়েও নানা পরামর্শ দেওয়া হয়।
বিশ্ব হাঁপানি দিবস বিশ্বজুড়ে কয়েক কোটি মানুষ হাঁপানি রোগে ভোগেন। এই রোগে আক্রান্ত হলে শ্বাসকষ্ট হয়, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এই রোগের লক্ষণগুলি কম-বেশি সবারই এক, কিন্তু বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই এই রোগের বিষয়ে সচেতনতা নেই। সেই কারণেই আজকের দিনে মানুষকে সচেতন করে তোলার চেষ্টা করেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্ব হাঁপানি দিবস গ্লোবাল ইনিসিয়েটিভ ফর অ্যাজমা সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৩ সালে। এই সংগঠনের উদ্যোগে প্রথমবার বিশ্ব হাঁপানি দিবস পালিত হয় ১৯৯৮ সালে। সেবার এই দিনটি পালিত হয় ৩৫টি দেশে।
বিশ্ব হাঁপানি দিবস প্রথমবার বিশ্ব হাঁপানি দিবসের বৈঠক হয় স্পেনের বার্সেলোনা শহরে। এরপর বিশ্বের আরও অনেক দেশ এই উদ্যোগে সামিল হয়। আজ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই দিনটি পালন করা হচ্ছে।
বিশ্ব হাঁপানি দিবস হাঁপানি রোগ পুরোপুরি সারে না। একবার কেউ এই রোগে আক্রান্ত হলে সারাজীবন কষ্ট পেতে হয়। তবে আগাম সতর্কতা অবলম্বন করলে এবং ঠিকমতো চিকিৎসা করলে সুস্থ থাকা সম্ভব। কিন্তু সেটা কীভাবে সম্ভব, এ বিষয়ে অনেকেই সচেতন নন। সেই কারণেই আজকের দিনটি তাৎপর্যপূর্ণ।
বিশ্ব হাঁপানি দিবস এবারের বিশ্ব হাঁপানি দিবসের থিম ‘চিকিৎসার খামতি পূরণ’। হাঁপানি রোগীদের কষ্ট কমানো, ঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করা, চিকিৎসার খরচ কমানোর মতো বিষয়গুলির উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
বিশ্ব হাঁপানি দিবস চিকিৎসকদের মতে, ঠিক কোন কারণে হাঁপানির কষ্ট বাড়ে, সেটা চিহ্নিত করা উচিত। সেই বিষয়গুলি এড়িয়ে চললে হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
বিশ্ব হাঁপানি দিবস যে জিনিসগুলিতে অ্যালার্জি রয়েছে, সেগুলি অবশ্যই এড়িয়ে চলা উচিত হাঁপানি রোগীদের। কারণ, হাঁপানি রোগীদের অ্যালার্জির সমস্যা বাড়লে বেশি কষ্ট হয়।
বিশ্ব হাঁপানি দিবস হাঁপানি রোগীদের ধূমপান করা উচিত নয় বলেই মত চিকিৎসকদের। তাঁরা জ্বলন্ত ধূপকাঠির সামনেও হাঁপানি রোগীদের না থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। কারণ, যে কোনওরকম ধোঁয়াই হাঁপানি রোগীদের পক্ষে ক্ষতিকারক।