গুয়াহাটি: যমজ শিশুদের বাড়িতে বন্দি করে রেখে নৃশংস অত্যাচার চালানোর অভিযোগ। অসমে (Assam News) গ্রেফতার করা হল অভিযুক্ত চিকিৎসক দম্পতি। বাড়ির পরিচারিকাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Childe Abuse)। তিন জনকেই হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলা দায়ের হয়েছে যৌন নির্যাতন থেকে শিশু সুরক্ষা আইনে (POCSO)। এই ঘটনায় আঁতকে উটছেন রাজ্যবাসী। রাজ্য প্রশাসনও নড়েচড়ে বসেছে।


দুই যমজ শিশুকে বাড়িতে বন্দি করে রেখে, নৃশংস অত্যাচার চালানোর অভিযোগ


অসমের গুয়াহাটির ঘটনা। অভিযুক্ত চিকিৎসক দম্পতিকে ওয়ালিউল ইসলাম এবং সঙ্গীতা দত্ত হিসেবে চিহ্নিত করা গিয়েছে। স্বামী পেশায় শল্য চিকিৎসক, স্ত্রী মনোবিদ। পরিচারিকা লক্ষ্মী নাথের সঙ্গে মিলে ওই দুই যমজ শিশুকে বাড়িতে বন্দি করে রেখে, নৃশংস অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ। যমজ দুই শিশুর অভিভাবকের সন্ধান চলছে।


গুয়াহাটির পুলিশ কমিশনার দিগন্ত বরা জানিয়েছেন, দুই যমজ শিশুর মধ্যে একজনের  শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।  ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়ে দেখা গিয়েছে, মেয়েটির যৌনাঙ্গে সিগারেটের ছ্যাঁকার পোড়া দাগ রয়েছে।


আরও পড়ুন: The Kerala Story : বাংলায় নিষিদ্ধ 'দ্য কেরালা স্টোরি', যোগীরাজ্যে হল করমুক্ত


ঠিক কতদিন ধরে দুই শিশুকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল, তা নির্দিষ্ট ভাবে জানা যায়নি এখনও পর্যন্ত। তবে মার্চ মাসেই এ নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে। রাজ্যের শিশু-অধিকার কর্মী মিগুয়েল দাস কুইয়া প্রথম সন্দেহ প্রকাশ করেন এ নিয়ে। গনগনে রোদে ছাদের খুঁটিতে এক শিশুকে বেঁধে রাখতে দেখা গিয়েছে বলে জানতে পারেন তিনি।


অভিযুক্তদের পাঁচ দিনের জন্য হেফাজতে পাঠানো হয়েছে


সেই নিয়ে বিশদ খোঁজ খবর নিয়ে সম্প্রতি পুলিশের দ্বারস্থ হন মিগুয়েল। তাতেই সক্রিয় হয়ে ওঠে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে তিন জনকে। আপাতত পাঁচ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। ওই দুই শিশুর মা-বাবার খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। অসম পুলিশের ডিজি এবং মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা খোদ, ব্যক্তিগত ভাবে পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছেন বলে জানা গিয়েছে।


আরও পড়ুন: Lip Care Tips: গরমের মরসুমে ট্যান পড়ে ঠোঁটেও, এই সমস্যা এড়িয়ে চলবেন কীভাবে? রইল কিছু সহজ টিপস


কেন ওই দুই শিশুর উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছিল, চিকিৎসক দম্পতি তাদের কোথা থেকে নিয়ে এসেছিলেন, তাদের মা-বাবা কোথায়, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।