কলকাতা : শনি (Shani) ন্যায়ের দেবতা। পৌরাণিক ও ধর্মীয় কাহিনীতে শনিদেবকে 'কর্মের দাতা' হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এটা মনে করা হয় যে, শুধুমাত্র শনিদেবই মানুষের ভাল-মন্দ কাজের হিসাব রাখেন। তাই শনিকে 'কলিযুগের বিচারক' বলা হয়েছে।


সাড়ে সাতি ও শনি ধাইয়া(Sade sati and Dhaiya) -


শনির দুই অবস্থানকে মানুষ সবচেয়ে বেশি ভয় পায়। সাড়ে সাতি ও ধাইয়া। এই দুই অবস্থানকে শনির অন্যতম বেদনাদায়ক অবস্থা বলে মনে করা হয়। বর্তমানে শনির এই অবস্থানটি ৫টি রাশিতে রয়েছে।


মিথুন ও তুলায় ধাইয়া, ধনু, মকর ও কুম্ভয় সাড়ে সাতি-


জ্যোতিষ শাস্ত্রের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে মিথুন ও তুলা রাশিতে শনির ধাইয়া চলছে। একই সঙ্গে ধনু, মকর ও কুম্ভ রাশিতে চলছে সাড়ে সাতি।


শনি কোন মানুষকে বিরক্ত করেন না?


শনি কোন মানুষকে বিরক্ত করেন না ? প্রায়ই এই প্রশ্ন থেকে যায় মানুষের মনে। বিশ্বাস অনুসারে, যারা শিব, হনুমান ও ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পুজো করেন, শনিদেব তাঁদের বিরক্ত করেন না। ভাল ফল দেন।


শনি কৃষ্ণের ভক্ত, তপস্যায় শিবকে সন্তুষ্ট করেছিলেন-


শনিদেব কৃষ্ণের ভক্ত। কিংবদন্তি অনুসারে, শনিদেব ভগবান কৃষ্ণকে খুশি করার জন্য মথুরার কোসিকালানে কোকিলাবনে কঠোর তপস্যা করেছিলেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁর তপস্যায় খুশি হয়ে কোকিল রূপে শনিদেবের কাছে আবির্ভূত হন। এই মন্দির আজও স্বীকৃত। শনিদেব তাঁর তপস্যার দ্বারা শিবকে বর দিতে বাধ্য করেছিলেন।


কিংবদন্তি অনুসারে, শনির পিতা সূর্যদেব একবার তাঁর মা ছায়াকে এবং তাঁকে অপমান করেছিলেন। শনিদেব আঘাত পেয়ে কঠোর তপস্যা করেছিলেন। এর পরে ভগবান শিব প্রসন্ন হয়ে শনিদেবকে সমস্ত গ্রহের বিচারক বানিয়ে দেন এবং এমন বর দেন যে দেবতারাও তাঁর ছায়া থেকে বাঁচতে পারবেন না।


শনিদেব হনুমান ভক্তদেরও বিরক্ত করেন না। যখন শনিদেব তাঁর ক্ষমতার উপর অহংকারী হয়ে ওঠেন, তখন হনুমানজি তা ভেঙে দেন। এরপর শনিদেব হনুমানজিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তিনি তাঁর ভক্তদের বিরক্ত করবেন না।


আরও পড়ুন ; রাহু দোষ কাটে, জীবনে আসে সাফল্য ও অর্থ ; রুটির এভাবে ব্যবহারে হতে পারে 'চমৎকার'


ডিসক্লেমার : (কোনও রাশির জাতক বা জাতিকার ভাগ্যে কী রয়েছে সেই সংক্রান্ত কোনো মতামত এবিপি লাইভের নেই। এবিপি লাইভ জ্যোতিষ সম্পর্কিত কোনো সম্পাদকীয় নিয়ন্ত্রিত তথ্য প্রদান করে না। প্রদত্ত পরামর্শ ও তথ্য প্রয়োগের আগে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)