কলকাতা : শনিদেবকে বিচারক । গ্রহদের রাজা বলা হয়। কেউ কেউ ন্যায়দাতা বলেন শনিকে। তাই শনিদেবের নাম শুনলেই মানুষ ভয় পেয়ে যায়। কিন্তু কথিত আছে, এমন দেবতাও আছেন, যাঁদের ডরান স্বয়ং শনিও। শনিদেবের রোষানল থেকে বাঁচতে এই দেবতাদের পায়ে মন সঁপে দিতে হয়। শনির দশা চললে , যে কেউ এই দেবতাদের পুজো করতে পারেন। তাহলেই মিলবে স্বস্তি।
শনিদেবকে অনেকে অত্যন্ত নিষ্ঠুর দেবতা বলে মনে করেন । কিন্তু জানলে অবাক হবেন, শনিও কয়েকজন দেবতাকে ভয় পান। এই জন্যই মানুষ সাড়ে সাতি বা ধইয়ার মতো শনির প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে এই দেবতাদের পুজা করে থাকেন।
কথিত আছে, শনিদেব ভগবান শিবকে ভয় পান। কিংবদন্তি অনুসারে, একবার শিব শনিকে একটি শিক্ষা দিতে চেয়েছিলেন। এই ঘটনার পর থেকে শনিদেব ভগবান শিবকে ভয় পান। মহাদেবকে নিজের গুরুর স্থান দেন শনিদেব। স্বয়ং মহাদেবই শনিকে কর্মফলদাতার দায়িত্ব দিয়েছিলেন বলে মনে করা হয়। আসলে কর্মফলই সব। যে যেমন কাজ করবে, তাকে তেমন ফল দান করেন শনি। আর তাঁকে এই অধিকার দিয়েছেন মহাদেবই। কেউ খারাপ কাজ করলে তাকে শাস্তি দেন শনি। শনির দশাতেও তাই একের জনের ওপর একেক রকম প্রভাব। তবে প্রতিকূলতা এড়াতে ভগবান শিবের আরাধনা করলে শনির প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
শনি মহারাজ হনুমানকেও ভয় পান বলে মনে করা হয় । জানা যায়, একবার বজরঙ্গবলী শনিদেবকে রক্ষা করেছিলেন কঠিন সময়ে । তারপর থেকে, শনি তাঁকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, শনিবার হনুমানজির পুজো করেন যে ভক্তরা, শনি কখনও ক্ষতি করবেন না। এই বিষয়ে একটি গল্প প্রচলিত আছে। লঙ্কার রাজা রাবণের ছেলে মেঘনাদ মারা যাওয়ার পর, তিনি খুব রেগে যান। শিবের শক্তিতে বলীয়ান রাজা বন্দি করেন সব গ্রহকে। তার মধ্যে ছিল শনিও। সে-সময় রাবণের মৃত্যুবাণ খুঁজতে খুঁজতে হনুমান আবার পৌঁছে যান লঙ্কায়। সেখানে তিনি গ্রহদের বন্দি অবস্থায় দেখতে পান। হনুমান গ্রহদের মুক্ত করেন। তখন সব গ্রহদের সঙ্গে শনিও হনুমানকে প্রণাম জানান। শনি বলেন, হনুমান এবং তাঁর ভক্তদের ওপর কখনও গ্রহদের কুপ্রভাব পড়বে না। পড়লেও তা সহজেই কেটে যাবে।
আরও পড়ুন, রাজ্যের ৭ জেলায় হলুদ সতর্কতা, পুজোর মাসেও ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি কলকাতায় ? আগামীকাল কেমন থাকবে আবহাওয়া ?