সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়: ভারতের বাজারে SUV-র চাহিদা ক্রমেই বেড়ে চলেছে আর এই সেগমেন্টে নতুন সুইফট মডেল বাজারে এনে বিপুল জনপ্রিয়তা তৈরি করেছে মারুতি সুজুকি। ২০০৫ সালের এই পুরনো হ্যাচব্যাক মডেল আবার ফিরে এল নতুনরূপে। তবে এখন মাইক্রো এসইউভির সঙ্গে জোরদার টেক্কা দিতে হবে এই মারুতি সুইফট ২০২৪-কে (Maruti Swift 2024)। তবে আগের মডেল তো আর নেই, এবার একেবারে ভোল বদলে ফেলেছে মারুতি সুজুকি।


লুকে কী বদল এসেছে


নতুন সুইফটে এসেছে একটা স্পোর্টি লুক (Maruti Swift 2024) এবং একটা ক্লাসিক অ্যাপিল। বলাই যায় যে, এই নতুন সুইফটের মধ্যে একটা প্রিমিয়াম লুক আনা হয়েছে। সামান্য কিছুটা দৈর্ঘ্য এর বেশি রাখা হয়েছে। এলইডি প্রজেক্টর হেডল্যাম্প থাকার দরুণ এর হেডল্যাম্পের আকার বেশ অনেকটাই বড় রাখা হয়েছে। এই হেডল্যাম্পগুলি বলা যায় সুইফটের সিগনেচার স্টাইল। ডোর হ্যান্ডলটা একেবারে ঠিক পজিশনে বসানো হয়েছে। রিয়ারে একটা টেইল ল্যাম্প আছে, সি-শেপের এলইডি লাইট দিয়ে তৈরি। এই নতুন সুইফট পাওয়া যাচ্ছে দুটি রঙের ভ্যারিয়ান্টে, এর মধ্যে একটি ব্লু শেড প্লাস।


ইন্টিরিয়রে কী বদল


সবথেকে বেশি বদল এসেছে ইন্টিরিয়রে। এখানে জুড়ে গিয়েছে একটি ৯ ইঞ্চির বড় টাচস্ক্রিন, বড় এয়ার ভেন্ট, টগল সুইচ এবং আরও অনেক নতুন সুইচ। নতুন ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, ফ্ল্যাট বটম স্টিয়ারিং হুইল একইরকম রাখা হয়েছে। এর সিলভার এলিমেন্টগুলি অনেক বেশি প্রিমিয়াম লুক এনে দেয় গাড়িতে। এমনকী ক্লাইমেট (Maruti Swift 2024) কনট্রোল নবগুলিও আগের মতই আছে। স্পেস আগের মত আছে, তবে রিয়ার সিটে তিনজন বসার জন্য জায়গা কিছুটা কমই আছে বলা চলে। তবে রিয়ারে এসি ভেন্টও লাগানো আছে, মিডল হ্যান্ডরেস্ট, আর্মরেস্ট আছে। লেগরুমটাও বেশ ভাল এই গাড়িতে।


প্রচুর ফিচার্সে ঠাসা ?


বড় ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম, বড় টাচস্ক্রিন, রিয়ার এসি ভেন্ট, রিয়ার ভিউ ক্যামেরা, ওয়্যারলেস চার্জিং ইত্যাদি নানা ফিচার্সে (Maruti Swift 2024) ঠাসা এই গাড়ি। তবে ব্যালেনো মডেলের মত হেডস আপ ডিসপ্লে এবং ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা এখানে নেই। স্ট্যান্ডার্ড সেফটি ইকুইপমেন্টের মধ্যে রয়েছে ৬টা এয়ারব্যাগ, ইলেকট্রনিক স্টেবিলিটি প্রোগ্রাম, হিল হোল্ড অ্যাসিস্ট, অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম, ইলেকট্রনিক ব্রেকফোর্স ডিস্ট্রিবিউশন ইত্যাদি। ৩ পয়েন্ট সিটবেল্টও রয়েছে এই গাড়িতে।


চালিয়ে কেমন আরাম এই গাড়ি


নতুন সুইফট (Maruti Swift 2024) মডেলে এসে জুড়েছে জেড সিরিজের ৩ সিলিন্ডার ইঞ্জিন যা কিনা পাওয়ারের দিক থেকে আগের তুলনায় খানিক কম শক্তিসম্পন্ন। তবে শহরের মধ্যে নিয়ে ঘোরার জন্য এই ইঞ্জিন খুবই ভাল। সিলিন্ডার সেভাবে নয়েসি নয়, নতুন ৫ স্পিডের ম্যানুয়াল ইঞ্জিনও এর দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্স দেয়। আগের মডেলের থেকে এর স্টিয়ারিংও অনেক উন্নত হয়েছে।


জ্বালানি তেল কেমন পোড়ে


বলাই বাহুল্য মারুতির এটাই একমাত্র এবং প্রথম ফুয়েল এফিসিয়েন্ট হ্যাচব্যাক মডেল। এর সবথেকে বড় সুবিধে হল কোনও হাইব্রিড সিস্টেম ছাড়াই ২৫ কিমি প্রতি লিটারে মাইলেজ পাওয়া যায় এই গাড়িতে।


আরও পড়ুন: EV Cars: লাক্সারি বাইকের থেকেও সস্তা এই ইলেকট্রিক চার চাকা, ১.৭০ লাখেই আপনার গ্যারাজে 


Car loan Information:

Calculate Car Loan EMI