Tata Electric: দেশে বর্তমানে ক্রমেই বৈদ্যুতিন গাড়ির চাহিদা বাড়ছে। আর সেই চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দু-চাকার এবং চার চাকার গাড়ি নির্মাতা সংস্থাগুলিও নতুন নতুন মডেল নিয়ে আসছে বাজারে। শুধু যে ডোমেস্টিক গাড়িতেই নতুন মডেল আসছে তা নয়, মালবাহী ও পণ্যবাহী গাড়িগুলির ক্ষেত্রেও বদল আসছে। টাটা এবার প্রথম মালবাহী গাড়ির মডেলের বৈদ্যুতিন ভার্সন নিয়ে এল বাজারে। ভারতের বাজারে এসে গেছে টাটা ACE EV 1000। ১ টন পণ্য পরিবহন করার ক্ষমতা আছে এই নতুন বৈদ্যুতিন ট্রাকের। একবার চার্জ দিলে ১৬১ কিমি পথ যেতে পারবে এই বৈদ্যুতিন ট্রাক।
টাটার এই নতুন ট্রাকে ব্যাটারি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমও রাখা হয়েছে একেবারেই নতুন। Fleet Edge Telematics System-এর সঙ্গে অন্য আরও কিছু ফিচার্স জুড়ে গিয়েছে এই ট্রাকে। টাটা দাবি করছে যে, নতুন জিরো এমিশন মডেলের উপর নির্ভর করে এই নতুন ট্রাকটি বানানো হয়েছে। সংস্থার বাণিজ্যিক পণ্যের ডিলারদের কাছে এখন এই মডেলটি পাওয়া যাবে।
কী ফিচার্স আছে Tata ACE EV 1000 মডেলে
আজ থেকে ২ বছর আগেই বাজারে এসেছিল টাটার ACE 1000 মডেলটি। তবে এবার এই পুরনো মডেলেরই বৈদ্যুতিন সংস্করণ আনা হয়েছে। এই নতুন ট্রাকের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে টাটা মোটরস কমার্শিয়াল ভেহিকল সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বিজনেস হেড বিনয় পাঠক জানান, দুই বছর ধরে টাটার ACE ১০০০-এর গ্রাহকরা এই ট্রাকের ভালমত সুবিধে উপভোগ করেছে। এর ফলে তাঁদের উপকারও হয়েছে অনেক। এই ট্রাক আদপেই খুব টেকসই। ভারতের জিরো এমিশন নীতির মোবিলিটি সলিউশনের ক্ষেত্রে এই ট্রাক একটা ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হয়ে উঠেছে।
তিনি আরও বলেন যে এই ট্রাকের ফিচার্সে আরও কিছু বদল আনা হবে এবং বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত মানুষদের সুবিধের কথা মাথায় রেখে কিছু ফিচার্স যোগ করা হবে। সবুজ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এই ট্রাক। একদিকে যেমন এর দাম অনেকটাই কম, তেমনই ডেলিভারির ক্ষেত্রেও অনেক সুবিধে আছে Tata ACE EV 1000 মডেলে।
এই ট্রাকের পাওয়ারট্রেন কী আছে
Tata ACE EV 1000-এ রয়েছে ইভোজেন পাওয়ারট্রেন। এতে এমন একটা ব্যাটারি আছে যার ওয়্যারান্টি আছে ৭ বছরের জন্য এবং ৫ বছরের একটা মেনটেন্যান্স প্যাকেজ আছে। টাটা জানিয়েছে যে কোনও মরশুমের জন্যেই এই ট্রাকটি উপযুক্ত। এতে আছে একটা অ্যাডভান্সড ব্যাটারি কুলিং সিস্টেম। রিজেনারেটিভ ব্রেকের ধারণাও রয়েছে এই বৈদ্যুতিন ট্রাকে। এই ট্রাকের মধ্যে যে বৈদ্যুতিন মোটর আছে তা ২৭ কিলোওয়াট শক্তি দেয়। ১৩০ এনএম টর্ক উৎপন্ন করে এই ট্রাক।
ফাস্ট চার্জিংয়ের সুবিধে আছে
ফাস্ট চার্জ দেওয়া যাবে টাটার এই বৈদ্যুতিন ট্রাকে। মাত্র ১০৫ মিনিটেই পুরো চার্জ হয়ে যাবে এই ট্রাকে। এটি সম্পূর্ণ লোডেড অবস্থাতেও দারুণ পারফর্ম্যান্স এনে দেয়। এই চার চাকার ক্যাটাগরিতে টাটা ACE EV 1000 মডেলটির কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক নেই। তবে তিন চাকার ব্র্যান্ডের মধ্যে টাটার যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী হল Piaggio, Altigreen, Bajaj এবং Euler সংস্থা। ভারতের বাজারে Tata ACE EV 1000 মডেলের দাম রাখা হয়েছে ৯.২১ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: Ola Scooter: এক চার্জে ছুটবে ১৯০ কিমি ! নতুন মডেল Ola S1 X-এর ডেলিভারি শুরু- বুক করেছেন ?
Car loan Information:
Calculate Car Loan EMI