সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়: নতুন গাড়িটি ঠিক কীরকম? ফিচারগুলি কেমন? তা বুঝতে গেলে সবচেয়ে ভাল উপায় হচ্ছে সেই গাড়িটি নিয়ে একটি রোড ট্রিপ করা। টাটা সাফারির নতুন এডিশন Tata Safari facelift diesel automatic- কে হাতেকলমে বুঝতে রাজস্থানের রাস্তায় হল রোড ট্রিপ। নতুন এই Facelift-এ অনেকগুলি পরিবর্তন এসেছে। ইলেক্ট্রিক পাওয়ার স্টিয়ারিং থেকে শুরু করে আরও নানা ধরনের ফিচার- বদলেছে অনেককিছুই। টাটা মোটর্সের ফ্ল্যাগশিপ SUV - সাফারি। বাজারে প্রবল প্রতিযোগিতার মুখে গাড়িটির খোলনলচে বদলে ফেলেছে টাটা।
এক সপ্তাহে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার চালানো হয়েছে গাড়িটি। গাড়ি চলেছে শহরের মধ্যেও। সোনালি রঙের শেডে নতুন এই টাটা সাফারি যেন অনেকটাই আকর্ষণীয়। Tata Harrier থেকে বেশ কিছুটা আলাদাও হয়েছে এই গাড়িটি। গাড়ির সামনে জুড়ে LED লাইটিং রয়েছে। গ্রিলে রয়েছে নতুন ধরনের প্য়াটার্ন। খোদাই রয়েছে Safai- নামটিও। এই সাফারিতে ১৯ ইঞ্চির চাকা গাড়ির চেহারা অনেকটাই পাল্টেছে। রাস্তায় এই গাড়ি থাকলে চোখ পড়তে বাধ্য।
নতুন Tata Safari facelift diesel automatic- এ অন্দরসজ্জাতেও ঢালাও বদল আনা হয়েছে। অ্য়াম্বিয়েন্স আর প্রিমিয়াম লুকের দিক থেকে বিচার করলে যা নজরকাড়া। দামের সঙ্গে সামঞ্জস্যও এসেছে তার জন্য। অন্দরসজ্জায় ডুয়াল টোন ব্য়বহার করা হয়েছে। Wood Finish আনা হয়েছে আর ব্যবহার করা হয়েছে হালকা রং। হালকা রং সাফসুতরো রাখা কষ্টসাধ্য বটে তবুও প্রিমিয়াম লুক আসে এর জন্য।
সিটও আগের চেয়ে অনেকটাই ভাল (Ergonomically) করেছে। Auto Parking Brake এবং সহজেই ব্যবহার করা যায় এমন USB port রয়েছে। ড্যাশবোর্ডের ডিজাইন একেবারে নতুন। টাচ স্ক্রিন ও ডিজিটাল স্টিয়ারিংয়ের বিষয়টিও খুব আকর্ষণীয়। টাচ প্যানেলে সব ফাংশান কন্ট্রোল করার সুবিধা রয়েছে। শুধুমাত্র তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য বাটন রয়েছে। গাড়ি চালাতে চালাতে টাচ প্যানেল ব্যবহার করা সোজা হলেও, ফ্যান অ্যাডজাস্ট করার জন্য বাটন থাকলে ভাল হতো। তবে ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমে এই ফিচার ব্যবহার করা যাবে। গাড়ির এসিও বেশ শক্তিশালী। রাজস্থানের গরমেও দ্রুত গাড়ির কেবিন ঠান্ডা করতে সক্ষম।
গাড়ির স্টিয়ারিং চার স্পোকের। এতে ডিজিটাল লোগো রয়েছে। এর ফলে এতে কিন্তু হাতের ছাপ পড়তে পারে। গাড়িতে ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা এককথায় অসাধারণ। পার্কিংয়ের জন্য অত্যন্ত উপকারী এটি। এছাড়া, গাড়িও অডিও সিস্টেমও রোড ট্রিপের জন্য বেশ ভাল। গাড়িতে স্টোরেজের জায়গাও বেশ ভাল। নয়া সাফারিতে ডিজিট্যাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার এবং ডিসপ্লে নেভিগেশনের কথাও আলাদা করে উল্লেথ করতে হয়।
সাফারির এই মডেলের পিছনের সিটের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এগুলি আলাদা আলাদা ক্যাপ্টেন সিট (captain seat)। রয়েছে প্যানারোমিক সানরুফ। এর ফলে গোটা কেবিন বেশ খোলামেলা মনে হয়। পিছনের সিটেও ইলেক্ট্রিক সিট অ্যাডজাসমেন্টের সুবিধা রয়েছে। এই মডেলে পিছনের সিটেও ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা রয়েছে। গাড়িতে লেগরুম বা পা রাখার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে।
টাটা সাফারির এই মডেলে ২ লিটারের ডিজেল ইঞ্জিন রয়েছে। যার ১৭০hp এবং ৩৫০Nm রয়েছে। তার সঙ্গেই 6 Speed Automatic গিয়ারবক্স। অল্প গতিতে তেমন কোনও আওয়াজ না হলেও। হাইস্পিডে ডিজেল ইঞ্জিনের আওয়াজ ভালমতোই হয়। বড় এবং ভারী চেহারার SUV-এর জন্য় এই ডিজেল ইঞ্জিন যথেষ্ট কার্যকরী। গিয়ারবক্সও বেশ দ্রুত কাজ করে।
শহরে মোটামুটি ১১ কিমি/লিটার এবং হাইওয়েতে ১৩ কিমি/লিটার মাইলেজ দিচ্ছে এই গাড়ি।
Tata safari-এর এই মডেলে টপ মডেলের দাম ২৭ লক্ষ টাকার মতো। এর পেট্রোল ইঞ্জিনের ভার্সনও থাকা উচিত বলে মনে করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: ১ এপ্রিল থেকে সত্যিই বদল আয়কর নিয়ে? কী জানাল অর্থমন্ত্রক?
Car loan Information:
Calculate Car Loan EMI