ঢাকা: রঙের উৎসব এবং সবেবরাতের উদযাপন চলছিল সেই সময়। সেই সময় আচমকাই কেঁপে উঠল বাংলাদেশ (Bangladesh)। মঙ্গলবার বিকেল ৪.৫০ নাগাদ বিস্ফোরণ হয় ঢাকার (Dhaka) সিদ্দিক বাজারে। ফলে সিদ্দিক বাজারের একটি বহুতল ভেঙে পড়ে। যার জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের, আহত হয়েছে শতাধিক।
অনেকেই বলেছেন, এই বিস্ফোরণে মুহূর্তের জন্য স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, 'যখন বিস্ফোরণ হল মনে হল সব ওলটপালট হয়ে গেল। পুরো পৃথিবীটাই যেন কেঁপে উঠল।' সিদ্দিক বাজারের যে বহুতলটি বিস্ফোরণের জেরে ভেঙে পড়ে, সেখানে যেমন একাধিক দোকান ছিল, তেমনি বহু মানুষের বসবাসের জায়গাও ঠিল সেটি। ফলে ওই বহুতল ভেঙে পড়তেই সেখানে বহু আবাসিকও আটকে পড়েন বলে আশঙ্কা। জোরাল বিস্ফোরণের জেরে রাস্তায় থাকা একটি বাসের জানলার কাঁচ ভেঙে পড়ে। ফলে বিস্ফোরণের পর থেকেই স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়।
আরও পড়ুন, ৩ দিনের ইডি হেফাজতে কেষ্ট, আজ দিল্লিতে ফের জেরার মুখে অনুব্রত
সংবাদমাধ্যমকে এক দমকলকর্মী বলেছেন, "এখনও পর্যন্ত ১৬টি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। যদিও এখনও উদ্ধারকাজ চলছে। তবে মৃত্যু আরও বাড়তে পারে।' অন্যদিকে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেন, 'বেশিরভাগ মৃত্যুই মাথায় আঘাত লেগে হয়েছে।'
কী কারণে এই বিস্ফোরণ হয়েছে তা এখনও তদন্ত সাপেক্ষ। যদিও স্থানীয়রা জানিয়েছে যে এই বিল্ডিংয়ে রাসায়ানিক জড়ো করা ছিল। সেখান থেকেও এই বিস্ফোরণ হতে পারে বলে দাবি তাঁদের।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক জানান যে গুলিস্তান ভবনে জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি কয়েকদিন আগে সায়েন্স ল্যাব এলাকায় ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণের মতো। এই ঘটিনার পর গুলিস্তান এলাকায় বিস্ফোরণস্থলে উত্সাহী জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জও করে।
এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।