নয়াদিল্লি: বাজেট অধিবেশনের ঠিক আগেই পেগাসাস-কাণ্ডে (Pegasus Row) নতুন করে পারদ চড়তে শুরু করেছে রাজনীতির। বাদল অধিবেশনের মতো তাই বাজেট অধিবেশনেও সেই নিয়ে বিরোধীরা আক্রমণে শান দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। সেই পরিস্থিতিতে বাজেট অধিবেশনের সূচনায় বিরোধী সাংসদদের সহযোগিতা প্রার্থনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendr Modi)। তাঁর যুক্তি, দেশের অর্থনীতিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে হলে বাজেট অধিবেশনকে ফলদায়ী করতে হবে।
সোমবার থেকে সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হল। সেই উপলক্ষে এ দিন সংসদের বাইরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘এ কথা সত্য যে বার বার নির্বাচনের কারণে সংসদের অধিবেশন প্রভাবিত হয়। আলোচনার উপর প্রভাব পড়ে। কিন্তু সকল সাংসদকে অনুরোধ, ভোট ভোটের জায়গা, এ সব তো চলবেই, কিন্তু বাজেট অধিবেশনে গোটা বছরের নীলনকশা তৈরি হয়। তাই বাজেট অধিবেশন যত ফলদায়ী হবে, ভারতের আর্থিক পরিস্থিতি ততই উচ্চতায় পৌঁছবে।’’
বিগত দু’বছর ধরে অতিমারির প্রকোপে দেশের অর্থনীতিতে সঙ্কট দেখা দিয়েছে। করোনার প্রকোপ যদিও কাটেনি, তবেব ভয়াবহতা অনেকটা কমেছে। সেই পরিস্থিতিতে পেশ হচ্ছে ২০২২-’২৩-এর কেন্দ্রীয় বাজেট। এ প্রসঙ্গে মোদি বলেন, ‘‘এই বাজেট অধিবেশনে সাংসদদের কথাবার্তা, চর্চার বিষয়, মুক্ত আলোচনা বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে ভারতের জন্য অভূতপূর্ব সুযোগ তৈরি করতে পারে। আশা করি সব সাংসদ, রাজনৈতিক দল মুক্ত মনে, উত্তম চর্চার মাধ্যমে দেশকে প্রগতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।’’
সম্প্রতি মার্কিন সংবাদপত্র ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এর রিপোর্টে পেগাসাস-কাণ্ডে মোদির ভূমিকা উঠে আসায় নতুন করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমমে শআন দিতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এর রিপোর্টে দাবি করা হয় যে, ২০১৭ সালে ইজরায়েল সফরে গিয়েছিলেন মোদি। সেখানে ২০০ কোটি ডলারের বিনিময়ে ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তির পাশাপাশি পেগাসাস স্পাইওয়্যার চুক্তিতেও তিনি স্বাক্ষর করেছিলেন তিনি, যার মাধ্যমে বিরোধী রাজনীতিক, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সাংবাদিক-সহ কয়েকশো বিশিষ্ট জনের ফোনে আড়ি পাতে কেন্দ্র। বাজেট অধিবেশনে সেই নিয়ে হুলস্থুল হতে পাড়ে বলে আশঙ্কা করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। সেই পরিস্থিতিতেই বিরোধী শিবিরের সাংসদদের সহযোগিতা প্রার্থনা করলেন মোদি।