নয়াদিল্লি: জাপানকে ছাপিয়ে গাড়ি রফতানিতে  শীর্ষে উঠে এল চিন। শুধু চারচাকার যাত্রীবাহী গাড়ি নয়, বাস, লরি, ট্রাক রফতানিতে তাদের ধারেকাছে নেই কোনও দেশ। ২০২৩ সালে চিন থেকে গাড়ির রফতানিতে ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে। বুধবার চিনের অ্যাসোসিয়েশন অফ অটোমাবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স যে রিপোর্ট পেশ করেছে, তা সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। (Top Vehicle Exporter)


চিনের অ্যাসোসিয়েশন অফ অটোমাবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্সের রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত বছর ৪৯ লক্ষ গাড়ি বিদেশে রফতানি করেছে চিন। তবে এটা শুধুমাত্র গাড়ি সংগঠনের হিসেব। চিনের শুল্ক বিভাগ জানিয়েছে, গত বছর সব মিলিয়ে ৫২ লক্ষ ২০ হাজার গাড়ি বিদেশে রফতানি করা হয়েছে। গাড়ি রফতানিতে এই মুহূর্তে কার্যতই একচ্ছত্র আধিপত্য চিনের। বিশ্বের ২০০-র বেশি দেশে গাড়ি রফতানি করে তারা। (Top Car Exporter)


গত সাত বছরে এই প্রথম গাড়ি রফতানিতে শীর্ষ স্থান হারাল জাপান। চিনের এই সাফল্যের নেপথ্যে তাদের তৈরি বিদ্যুৎচালিত গাড়ির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মত বাণিজ্য বিশেষজ্ঞদের। এমনিতেই প্রতি মাসে চিন থেকে সারি সারি গাড়ি বিদেশে রফতানি হয়, তাতে যে কোনও মুহূর্তে চিন জাপানকে ছাপিয়ে যেতে পারে বলে আগেই মিলেছিল ইঙ্গিত। বুধবার তাতে সিলমোহর পড়ল।


আরও পড়ুন: Share Market Before Interim Budget : অন্তর্বর্তী বাজেটের আগে কী অবস্থা শেয়ার মার্কেটের ?


তবে গাড়ি রফতানিতে চিন এই মুহূর্তে পৃথিবীতে চিন শীর্ষে থাকলেও, বিদেশে জাপানি সংস্থার গাড়ির বিক্রিই সবচেয়ে বেশি। গাড়ি রফতানি করে এই মাইলফলক ছোঁয়নি জাপান। বরং বিভিন্ন দেশে টয়োটার মতো যে সংস্থাগুলির আউটলেট রয়েছে তাদের, সেখান থেকে হু হু করে গাড়ি বিকোয় বলে জানা গিয়েছে। 


এখনও পর্যন্ত যে পরিসংখ্যান হাতে এসেছে, সেই নিরিখে, দু'চাকার মোটর সাইকেলকে যদি বাদ দেওয়াও হয়, তাহলে ২০২২ সালে জাপান মোট ৭৮ লক্ষ গাড়ি উৎপাদন করে। দেশের বাইরে অন্যত্র ১৭ লক্ষ গাড়ি উৎপাদন করে তারা। কিন্তি বিদ্যুৎচালিত গাড়ি উৎপাদনে পিছিয়ে রয়েছে জাপান।২০২২ সালে তাদের উৎপাদিত মোট গাড়ির মধ্যে মাত্র ১.৭ শতাংশ ছিল বিদ্যুৎচালিত। ইউরোপে এই হার ১৫ শতাংশ, আমেরিকায় ৫.৩ শাতংশ এবং চিনে ৫ শতাংশ। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে তাই, সম্প্রতি টয়োটা জানায়, ২০২৬ সালর মধ্যে বছরে ১৫ লক্ষ বিদ্যুৎচালিত গাড়ি রফতানি করার লক্ষ্য রয়েছে তাদের। ২০৩০ সালের মধ্যে তা বাড়িয়ে ৩৫ লক্ষে নিয়ে যাওয়া হবে।