Corporate FD: মধ্যবিত্তদের মধ্যে অনেকেই মাসিক সংসার খরচ বাদ দিয়ে বাকি টাকা সেভিংস অ্যাকাউন্টে বা ফিক্সড ডিপোজিটে (FD Interest Rate) জমিয়ে রাখেন। আর এই সঞ্চয়ই তাদের ভবিষ্যতের বড় অবলম্বন। এই কারণে অতিরিক্ত আয়ের একটি অন্যতম উৎস হিসেবে ফিক্সড ডিপোজিটের উপরেই ভরসা করেন সাধারণ মানুষ।
আর এই ফিক্সড ডিপোজিট (Fixed Deposit) নানাভাবে করা যায়। পোস্ট অফিসে কিংবা ব্যাঙ্কে সহজেই এই ফিক্সড ডিপোজিট খোলা যায়। এর পাশাপাশি মধ্যবিত্তদের মধ্যে বাড়তি আয়ের রাস্তা খুলে দেয় ন্যাশনাল সেভিংস স্কিম কিংবা কিষাণ বিকাশ পত্র যেখানে ১০ বছরেই আমানত দ্বিগুণ হয়ে যায়।
ব্যাঙ্ক এফডি নাকি কর্পোরেট এফডি- কোনটির কী সুবিধে ?
ফিক্সড ডিপোজিট করার ক্ষেত্রে যে ব্যাঙ্কে বেশি সুদ মিলছে সেই ব্যাঙ্কে আমানত করতেই পছন্দ করেন বেশি সাধারণ মানুষ। এতে অনেক ভাল রিটার্ন পাওয়া যায়। নিশ্চিত রিটার্ন পেতে এই ব্যাঙ্কের এফডি অনেক বেশি ভাল পন্থা মানুষের কাছে। তবে ব্যাঙ্ক এফডির থেকেও কর্পোরেট এফডিতে (Corporate FD) বেশি রিটার্ন পাওয়া যায়। কিন্তু কী কী সমস্যা রয়েছে ? মূল সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় ঝুঁকি বা বিনিয়োগের নিরাপত্তা। ব্যাঙ্ক এফডি যেহেতু রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়, তাই সেখানে বিনিয়োগে ঝুঁকি নেই। কিন্তু কর্পোরেট এফডির ক্ষেত্রে ঝুঁকি থেকেই যায়।
কর্পোরেট এফডিতে রিটার্ন অনেক ভাল হলেও এটিতে নিরাপত্তা অনেক কম রয়েছে। আমানত গ্রহণকারী এজেন্সি বন্ধ হয়ে গেলে সেই আমানতের টাকা ফেরত পেতে অনেক আইনি পদ্ধতির সাহায্য নিতে হয়। এই কারণে এতে ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। ফলে ব্যাঙ্ক এফডিতে কম ঝুঁকিতে কম রিটার্ন এবং কর্পোরেট এফডিতে বেশি ঝুঁকি, বেশি রিটার্ন মেলে।
( মনে রাখবেন : এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র তথ্যের উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা জরুরি যে, বাজারে বিনিয়োগ করা ঝুঁকি সাপেক্ষ। বিনিয়োগকারী হিসাবে অর্থ বিনিয়োগ করার আগে সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন। ABPLive.com কখনও কাউকে এখানে অর্থ বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেয় না। এখানে কেবল শিক্ষার উদ্দেশ্যে এই শেয়ার মার্কেট সম্পর্কিত খবর দেওয়া হয়। কোনও শেয়ার সম্পর্কে আমরা কল বা টিপ দিই না।)
আরও পড়ুন: Provident Fund: পিএফের টাকা তোলার সময় এই ৫ ভুল করছেন না তো ? খারিজ হতে পারে আবেদন