Bangladesh News: ভারত-বাংলাদেশ (India Bangladesh Relation) চাপানউতোরের মধ্যেই এবার ঢাকার ওপর চাপ বাড়াল আমেরিকা (US)। বাংলাদেশে সব প্রজেক্টে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করল ট্রাম্প সরকার (Donald Trump)। বাংলাদেশে স্বাস্থ্যক্ষেত্রের উন্নতিতে কয়েকশো কোটি টাকা সাহায্য করে আমেরিকা। স্বাভাবিকভাবেই এর ফলে আরও বিপাকে ইউনূস সরকার (Mohammed Yunus)।
কোন কোন খাতে সাহায্য বন্ধ
বাংলাদেশে পরিবেশ, শিক্ষা, কৃষকদের জন্য রোজগারে বিপুল অর্থসাহায্য করে আমেরিকা। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে রাখার জন্য টাকা দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এবার থেকে সেই সুবিধা আর পাবেন না মহম্মদ ইউনূসের সরকার।
ট্রাম্প সরকার আসতেই চাপে ঢাকা
অতীতে বাইডেনের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্যের জন্য কথা বলেছিল মহম্মদ ইউনূসের সরকার। মনে করা হচ্ছিল, মার্কিন নির্বাচনে জিতেই বাংলাদেশ সফরে আসবেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেডিডেন্ট জো বাইডেন। যদিও নির্বাচনে উল্টে ফল হতেই আশঙ্কা বাড়ছিল বাংলাদেশে। কারণ, মার্কিন নির্বাচনের প্রচারে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর আক্রমণ নিয়ে সরব হয়েছিলেন ট্রাম্প। এবার ক্ষমতায় এসেই বাংলাদেশে সব ধরনের আর্থিক সাহায্য় বন্ধ করলেন তিনি।
অন্যদিকেও আর্থিক সাহায্য বন্ধ
এর আগে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসেই ইউক্রেন (Ukraine) ছাড়াও অনেক দেশে আর্থিক সাহায্য় বন্ধ করে দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প জানিয়েছিলেন , আগামী ৯০ দিন কোনও দেশকে আর্থিক সাহায্য় দেবে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ট্রাম্পের নীতি না মানলেই সাহায্য় বন্ধ
আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পরপরই বেশ কিছু বড় সিদ্ধান্ত নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন করে ৯০ দিনের জন্য ইউক্রেন-সহ অনেক দেশে আমেরিকা থেকে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করেছেন তিনি। ট্রাম্প বলেছেন, আমেরিকা থেকে বিদেশে যে আর্থিক সাহায্য যাচ্ছে, তা তাঁর নীতি অনুসারে হচ্ছে কি না তা আগে দেখে নেবেন তিনি। একবার ছাড়পত্র পেলেই তবেই ছাড়া হবে ফান্ড।
অনেক দেশ এর জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে
তবে ট্রাম্পের এই আদেশে কোন দেশ বা সংস্থা নির্দিষ্টভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। আমেরিকার এমন অনেক প্রোগ্রাম রয়েছে, যার জন্য ইতিমধ্যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। আমেরিকান নিয়ম অনুসারে, যদি কংগ্রেসে পাশ করা কোনও প্রোগ্রামের বরাদ্দ অর্থ ইতিমধ্যে ব্যয় করা না হয়, তবে তা ব্যয় করতেই হবে, এই পলিসি বাধ্যতামূলক। ফান্ড বন্ধ করার পর ট্রাম্প বলেছেন, আমেরিকা থেকে বিদেশে যে আর্থিক সাহায্য যাচ্ছে, তা তার পররাষ্ট্রনীতি অনুযায়ী হওয়া উচিত।
আমেরিকা আগে, তারপরে সবাই
প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর উদ্বোধনী ভাষণে ট্রাম্প বলেন, ''আমি সব সময় আমেরিকাকে অগ্রাধিকার দেব। আমাদের দেশ এখন সমৃদ্ধ হবে। আজ থেকে আমেরিকার স্বর্ণযুগ শুরু হচ্ছে। সোমবার অফিসে ফিরে ট্রাম্প একটি এক্সিকিউটিভ অর্ডারে স্বাক্ষর করেন। যেখানে বিদেশি সহায়তা খাতে আমেরিকান সাহায্যের উল্লেখ ছিল। বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, মার্কিন মূল্যবোধকে মান্যতা দেয় না সেসব দেশে সাহায্য় করবে না হোয়াইট হাউস।
Patanjali Foods : পতঞ্জলির লঙ্কার গুঁড়োতে কীটনাশক ! বাজার থেকে তোলার নির্দেশ, কী বলছে সংস্থা ?